।। প্রথম কলকাতা ।।
Sourav-Darshana Wedding: মুখে নিষ্পাপ হাসি। কিন্তু তা যেন অনেক বেদনায় মেশানো। পরনে কালচে নীল ক্যাজুয়াল পাঞ্জাবি। যেন যা হোক একটা পরলেই হলো। নতুন করে নিজেকে সাজানো!নাঃ, সে তাগিদ আর আসে না মন থেকে। আজকাল কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানেই আর যান না তিনি। কিন্তু সৌরভের বিয়েতে না এলে হয়! অনেক কাছের বন্ধু যে।তাই সেই বিয়েতে এলেন সব্যসাচী। এলেন বেশ রাত করেই। তবুও সেলেবদের মাঝে নজর কাড়লেন আলাদা করে। হবে নাই বা কেন? না থেকেও যে সব্যসাচীর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তাঁর ভালোবাসার ঐন্দ্রিলা।
১৫ ডিসেম্বর শুভ সন্ধ্যায় সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন সৌরভ-দর্শনা। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন টলিপাড়ার বহু তারকা। সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেল টেলিভিশনের এই চর্চিত তারকাকে। তিনি টেলিভিশনের ‘রামপ্রসাদ’, অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। আলোর রোশনাই, সেলফি তোলার অনুরোধ, বন্ধুদের আড্ডার মাঝেও তিনি স্বতন্ত্র, ধীর, স্থিতধী। যেন সাধনায় মগ্ন সত্যিকারের কোনও পৌরাণিক চরিত্র। একদম এক উদাস মানুষ। চরিত্রের প্রয়োজনে গালের দাড়ি বেড়েছে আরও খানিকটা। সেই পরিচিত হালকা হাসি। যে হাসিমুখ দেখে একসময় ভেসে যেত সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ। বিয়ে বাড়িতে এলেও এদিন ভিড় থেকে দূরে দূরেই থাকলেন অভিনেতা সব্যসাচী। নবদম্পতি সৌরভ-দর্শনা কাছের বন্ধুকে দেখতে পেয়েই জায়গা ছেড়ে উঠে এসে হাসিমুখে পোজ দিলেন। ছবি তুললেন।
প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর বদলে দিয়েছে তাঁকে। এই তো সেদিনের কথা। সব্যসাচীর ঐন্দ্রিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন নেটিজেনদের বিরাট অংশ। কিছুদিন আগেই ছিল ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকী হলো।আপনারা তো জানেন, ঐন্দ্রিলা যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন, তখন হাসপাতালের বাইরে বিনিন্দ্র রাত কাটাতেন সব্যসাচী। সেই কঠিন সময়ে ইন্ডাস্ট্রির যে মানুষটা তাঁকে আগলে রেখেছিলেন তিনিই সৌরভ দাস।
সব্যসাচীর সঙ্গে রাত জাগা, পাশে থাকা, মিডিয়ার চাপ সামলানো থেকে শুরু করে সবকিছু করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকেই। আর সেই কারণেই কোথাও গিয়ে দর্শনা বণিকও মনে-মনে ভালবেসে ফেলেছিলেন সৌরভের ওই মনটাকে। এই বছরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর। মার্চ মাসের দ্বিতীয় রবিবার এক হতেন তাঁরা। সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে চির জীবনের জন্য। বিপদের বন্ধুকে ভোলেননি সব্য। বন্ধুর নতুন জীবন শুরুর দিনে এলেন, পাশে থাকলেন।
সৌরভের বিয়েতে সব্যর ভিডিও সামনে আসতেই তা ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। অনেকেই ভালোবাসায় ভরিয়েছেন কমেন্ট বক্স। অনেকে বলছেন, পুনর্জন্ম যদি থেকে থাকে তবে নিশ্চয়ই ঐন্দ্রিলাকে আবার নিজের করে পাবে সব্যসাচী। অনেকে চাইছেন সব্যসাচী যাতে জীবনের বাকি দিনগুলো সুন্দর করে তার জন্য তিনি যেন মুভ অন করেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম