।। প্রথম কলকাতা ।।
Mamata Banerjee: রবিবার মধ্যরাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টার। এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই মৃত রোগীর পরিবার-পরিজনদের বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি জানার পরে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে সুপারকে ফোন করেন বলে জানান।
আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালের দিকে জি-২০ বৈঠকের জন্য রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি সকালে এই বিষয়টা হ্যান্ডেল করে দিয়েছি, অল্প বয়সে কেউ মারা গেলে দুঃখ কষ্ট হয় কিন্তু তা বলে মারধর ভাঙচুর করা উচিত নয়”। জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধর করার প্রসঙ্গে তিনি সুপারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন বলেই জানা যায়।
এছাড়াও গতকাল মধ্যরাতে সেখানে কোন সিনিয়র চিকিৎসক কেন ছিলেন না ? এসএসকেএম হাসপাতালে পুলিশের স্থায়ী ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কেন ভবানীপুর থানা থেকে পুলিশকে আসতে হয়েছে ? এই সমস্ত প্রশ্ন তোলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, সোমবার সকালেই তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে সুপারকে ফোন করে এই ঘটনার জন্য সরি বলেন। এছাড়াও রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত করা যায় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজ্য প্রশাসন , এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে পাঁচজনকে। এমনটাই জানা গিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনে প্রকাশিত খবর থেকে। উল্লেখ্য, রবিবার মাঝ রাতে হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা এক যুবককে নিয়ে আসা হয় তবে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। সেখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরবর্তীতে ওই যুবকের মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা নিয়ে চিকিৎসক এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। কর্তব্যরত ৪ চিকিৎসকের উপর চড়াও হয় রোগীর আত্মীয়রা, এমনটাই ওঠে অভিযোগ। এছাড়াও ভাঙচুর করা হয় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের টেবিল চেয়ার সহ এক্স রে মেশিন। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়ে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তাঁরাই নিয়ন্ত্রণে আনেন পরিস্থিতি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম