।। প্রথম কলকাতা ।।
Married Daughter’s Right: কোন পরিবারের কন্যা বিবাহের সময় যৌতুক দেওয়া হলেও পারিবারিক সম্পত্তির উপর কতটা অধিকার দাবি করতে পারে? সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি মামলার শুনানি করেছে বোম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) গোয়া বেঞ্চ। আবেদনকারী এক মহিলা আদালতে দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিলেন, তার চার ভাই এবং মা তাকে পারিবারিক সম্পত্তির কোন অংশ দিতে রাজি নন। তারা যুক্তি দিয়েছিলেন, চার মেয়েকে বিয়ের সময় কিছু যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। তাই তারা পারিবারিক সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে আদালত।
এক পরিবারের চার ভাই এবং মা যুক্তি দিয়েছিলেন, যেহেতু বোনদের বিয়ের সময় যৌতুক দিয়েছিলেন, তাই পারিবারিক সম্পত্তিতে কোন অধিকার থাকবে না। কিন্তু এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চের বিচারপতি। তিনি জানান, মেয়েদের বেআইনি ভাবে যৌতুক দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নিলেও তার মানে এই নয় যে পারিবারিক সম্পত্তিতে তাদের কোন অধিকার থাকবে না। বিবাহের সময় যৌতুক দেওয়া হলেও পারিবারিক সম্পত্তির উপর তারা অধিকার দাবি করতে পারেন। পাশাপাশি বিচারপতি আরো বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর ভাইয়েরা বোনদের অধিকার যেভাবে খর্ব করছে তা ঠিক নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ওই চার মেয়েকে যথেষ্ট পরিমাণে যৌতুক দেওয়া হয়েছিল কিনা তা আদালতে স্পষ্ট করা হয়নি।
আদালত প্রমাণ যাচাই করে দেখে, যৌথ পরিবারের সম্পত্তি থেকে বোনদের বাদ দেওয়ার জন্য ভাইরা সেই সম্পত্তি বিক্রি করেছিলেন। চার বোনের মধ্যে ভাইদের পক্ষে ছিলেন শুধুমাত্র একজন বোন। এক্ষেত্রে ভাইদের দাবি অনুযায়ী, মৌখিক ভাবে চার বোন তাদের পৈতৃক সম্পত্তির উপর নিজেদের অধিকার ছেড়ে দিয়েছেন। তাই বাড়ি এবং দোকান ভাইদের নামে করে দেওয়া হয়। অপরদিকে মামলাকারী এক বোনের দাবি অনুযায়ী, পরিবারের তিনি বড় মেয়ে, অথচ পারিবারিক সম্পত্তিতে তার কোন অধিকার দেওয়া হয়নি। তাই পারিবারিক সম্পত্তি যাতে বিক্রি করা না হয় সে ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ভাইদের দাবি অনুযায়ী, বদলি দলিল করা হয়েছিল ১৯৯০ সালে আর মামলা দায়ের করা হয় ১৯৯৪ সালে। এই বিষয়ে বিচারপতি জানান, আপিলকারী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন তিনি মামলাটি সম্পর্কে জানার ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই মামলা করেছেন। পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন, ভাইয়েরা প্রমাণ করতে পারেননি যে ওই মহিলা অর্থাৎ তাদের বোন ১৯৯০ সালে কাজটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। তাই বর্তমানে আদালত হস্তান্তর দলিল বাতিল করে রায় দিয়েছে আপিলকারীর পক্ষে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম