।। প্রথম কলকাতা ।।
Japan: প্রকৃতি যেন গোটা বিশ্বজুড়ে আধুনিকতার নির্মমতার প্রতিশোধ নিতে তাণ্ডব লীলা চালাচ্ছে। আমেরিকার (America) নিউইয়র্কের (New York) অবস্থা বেশ খারাপ। বরফের চাদরের মুড়ে গিয়েছে বাফেলো শহর। উত্তরোত্তর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এবার তুষার ঝড়ে বিধ্বস্ত জাপান (Japan)। এএনআই (ANI) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জাপানে তুষার ঝড়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। জাপানের উত্তর-পূর্বাংশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গোটা বিশ্বজুড়ে একের পর এক খারাপ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। আমেরিকার পর এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ল জাপান। এর আগে জাপানের টোকিওতে (Tokyo) এমন ভয়ঙ্কর তুষারপাত দেখা যায়নি। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে জাপানে আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ। ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন প্রায় সাত হাজার মানুষ। বিধ্বস্ত দেশটির পরিবহন ব্যবস্থা। জাতীয় সড়কগুলি ঢাকা পড়েছে পুরু বরফের আস্তরণে। যার কারণে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রচুর গাড়ি। দেশটির পরিবহন মন্ত্রক অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে গাড়ির চালক আর যাত্রীদের খাবার সরবরাহে কাজ করছেন। বিপর্যয়ের কারণে বহু জায়গায় ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। টোকিওর যেখানে যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে সেখানে আবার ট্রেনের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন। পাশাপাশি ব্যাহত বিমান পরিষেবা। আশঙ্কা রয়েছে, আগামী কয়েক দিন টোকিওতে ভারী তুষারপাত হতে পারে। এই তুষারপাত ধীরে ধীরে জাপানের উত্তর দিকে এগিয়ে চলেছে। পশ্চিম জাপানের কিছু এলাকায় সাধারণ মানুষ খাবার পাচ্ছেন না। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে বিভিন্ন সাহায্যকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।
সামনেই নিউ ইয়ার। ক্রিসমাস শেষ হতেই জাপানে এই তাণ্ডব বহু সাধারণ মানুষের কাছে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। জাপানের ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির একজন কর্মকর্তা জানান, ইয়ামাগাতা প্রিফেকচারের নাগাইতে বগির ছাদ থেকে নিচে পড়ে ৭০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধা বরফে চাপা পড়েন। এই দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা গত সপ্তাহে জানায়, দেশটির তুষারপাত গড়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জাপান ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছে, যার কারণে বিধ্বস্ত জনজীবন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম