।। প্রথম কলকাতা ।।
Akshaya Tritiya: ১০০ বছর পর অক্ষয় তৃতীয়ায় এমন শুভ যোগ। হেলায় হারাবেন না এই সূবর্ণসুযোগ। বাড়তি আয় বৃদ্ধির জন্য অক্ষয় তৃতীয়ায় করুন এই ৫টি কাজ সংসারে হু হু করে ঢুকবে অগাধ সুখ-সৌভাগ্য! ফিরবে অর্থভাগ্য, সংসারে আসবে শান্তি। সেই সাথে সারা বছর বজায় থাকবে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। খুব বেশি কিছু নয়, করতে হবে খালি এই ছোট্ট কয়েকটি কাজ। অক্ষয় তৃতীয়ায় সৌভাগ্যতে ভরবে জীবন।
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিকে অক্ষয় তৃতীয়া বলা হয়। চলতি বছর অক্ষয় তৃতীয়া পালন হবে ১০ মে। হিন্দুশাস্ত্রে অন্যতম শুভ তিথি বলে মানা হয় এই দিনটিকে। জ্যোতিষীরা বলেন, এই শুভ তিথিতে করা কাজের ফললাভ অক্ষয় হয়ে থাকে। কারণ এই দিনটি হচ্ছে দেবী লক্ষ্মীর দিন। এইদিন মা লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে পারলে সংসারে আসে বাড়তি আয়। সেই সঙ্গে সারা বছর বজায় থাকে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদও।
তবে জ্যোতিষীদের মতে এবছরের অক্ষয় তৃতীয়া একটু আলাদা। কারণ ১০০ বছর পর এই তিথিতে একাধিক শুভযোগ সৃষ্টি হবে। যার মধ্যে গজকেশরী যোগ, রবি যোগ-সহ একাধিক শুভযোগ রয়েছে। এইদিন সোনা কেনা ছাড়াও কয়েকটি ছোট্ট কাজ করলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি ঘটে বলে মনে করেন জ্যোতিষীরা। জানেন কী সেই কাজ? দেরি না করে ঝটপট জেনে নিন।
সবসময় যে সোনা কিনতে হবে তার কোনও মানে নেই। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ মুহুর্তে রূপো কেনাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এইদিন একটি রৌপ্য মুদ্রা কিনুন এবং তা মা লক্ষ্মীর পায়ে অর্পণ করুন। এরপর সেই মুদ্রা একটি লাল কাপড়ে বেঁধে সুরক্ষিত জায়গায় রাখুন।
বলা হয় শঙ্খপুষ্পী উদ্ভিদ যেখানে থাকে, সেখানেই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে। এইদিন একটি শঙ্খপুষ্পের মূল নিয়ে সেটি গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে তাতে জাফরানের তিলক লাগান। এরপর সেটি একটি রূপোর বাক্সের মধ্যে ভরে রাখুন। মানুষের বিশ্বাস, এই প্রতিকার করলে ভিক্ষুকও বড়লোক হয়ে ওঠে।
শ্রীফলকে মা লক্ষ্মী এবং কুবেরের প্রতীক মানা হয়। জ্যোতিষীদের পরামর্শ, যারা ব্যবসা করেন তারা অবশ্যই দোকানের সেফ এবং আলমারিতে এটি রাখুন। এতে যেমন চুম্বকের মত অর্থ আসবে তেমন বাস্তুদোষও কাটবে।
একদিকে হলুদকে ভগবান বিষ্ণু এবং গ্রহ বৃহস্পতির প্রতীক মানা হয়। অন্যদিকে ‘কড়ি’কে বলা হয় মা লক্ষ্মীর প্রতীক। দারিদ্র্য দূর করতে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন একটি হলুদ কাপড়ে হলুদের গাঁট, কড়ি ও পয়সা বেঁধে রাখুন। ফল মিলবে হাতেনাতেই।
অক্ষয় তৃতীয়াতে বাড়িতে আনুন কুবের যন্ত্র। পূর্ণিমার দিন, ধনতেরাস, দীপাবলির মতো সময়ে সময়ে এটির পুজো করতে থাকুন। এতে অর্থের অভাব তো হবেই না, সেই সাথে আসবে বাড়তি টাকাও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম