।। প্রথম কলকাতা ।।
High Court On Divorce Case: কোন স্ত্রী যদি তার জীবন সঙ্গীর (life partner) বিরুদ্ধে মিথ্যা অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ করেন তাহলে তা নিষ্ঠুরতার সমান। এমনটাই জানিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। বিবাহিত দম্পতির মধ্যে পারস্পরিক কলহের ঘটনায় হাইকোর্ট সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। স্ত্রীর ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অপরদিকে স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে চাইছিলেন না। তিনি সেই আবেদনের বিরুদ্ধে আপিল করেন। স্বামী হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মিথ্যা বলছেন। তার বিরুদ্ধে যে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
‘এবিপি নিউজ’ এর সূত্র অনুযায়ী, গুজরাতের সবরকাঁথার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৩ সালে। ২০০৬ সালে তাদের একটি ছেলে হয়। কিন্তু কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর (Husband-wife) মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ২০০৯ সালে ওই ব্যক্তি গান্ধীনগরে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। তিনি স্ত্রীকে পরিত্যাগ এবং নিষ্ঠুরতার অভিযোগ এনে বলেছিলেন তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ চান। পারিবারিক আদালতে জানায়, ওই ব্যক্তির স্ত্রী ২০০৬ সালে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও ছেলেকে নিয়ে তিনি ফেরেননি। স্বামী এবং শাশুড়ির আবেদন গ্রহণ করে পারিবারিক আদালত বিবাহ বিচ্ছেদে অনুমোদন দেয়। এই রায়ে ক্ষেপে যান স্ত্রী। তিনি পারিবারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
স্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী, স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেছেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। তার স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যান। স্ত্রী নিজেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি কোনদিনও ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেননি। এমনকি তার স্ত্রী তাকে এবং তার মায়ের উপর নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করেন।
গুজরাত হাইকোর্টে উভয় পক্ষের শুনানি হয়েছে। দুই পক্ষ বিচার করে হাইকোর্ট রায় দেওয়ার সময় ওই নারীকে ভৎসর্না করে এবং আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারক জানান একবার যখন পারিবারিক আদালতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে তার স্বামীর কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই তাহলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্ত্রী কিভাবে পুনরায় অভিযোগ করেছেন? কোন স্ত্রী যদি তার জীবন সঙ্গীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ আনেন তাহলে তা নিষ্ঠুরতার সমান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম