।। প্রথম কলকাতা ।।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের বোধন। তারপরেই মহাযুদ্ধে নেমে পড়বে ১০টি দেশ। আর বোধনের আগেই ক্রিকেট সমর্থকদের উত্তেজনা বাড়ালেন সাইন্টিফিক জ্যোতিষী গ্রীণস্টোন লোব। তাঁর মতে ১৯৮৭ সালে জন্মানো অধিনায়ক জিতবেন এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি। এই ভবিষ্যৎবাণী ঘোষণার পরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। তাহলে কোন কোন অধিনায়ক রয়েছেন এই তালিকায়? কোন দেশ জিততে চলছে ২০২৩ বিশ্বকাপ ট্রফি? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
জ্যোতিষী গ্রীণস্টোন লোব-র মত অনুসারে ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণকারী খেলোয়াড় বা অধিনায়ক যত না সাফল্য পেয়েছেন। তার চেয়ে অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছেন ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি বার্তায় গ্রীণস্টোন লোব জানিয়েছেন যে, ১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেছেন রাফায়েল নাদাল। কিন্তু ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করা নোভাক জোকোভিচ তাঁর সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছেন। শুধু তাই নয় ২০১৮ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। সেইসময় ফ্রান্সের অধিনায়ক ছিলেন হুগো লরিস। যার জন্ম ১৯৮৬ সালে। ঠিক তার পরের বিশ্বকাপ অর্থাৎ কাতার বিশ্বকাপের মুকুট ওঠে লিওনেল মেসির মাথায়। আশচর্যের বিষয় মেসির জন্ম ১৯৮৭ সালে।
শুধু ফুটবল নয় তিনি ক্রিকেটের উদাহরণ টেনে বলেছেন, গতবার অর্থাৎ ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ জয় করে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন ইয়ন মর্গ্যান। যার জন্ম ১৯৮৬ সালে। লোব তখন ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ট্রফি জিতবে ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহণকারী কোন অধিনায়ক। যদিও এর আগেও নিখুঁত ভবিষ্যৎবাণী করে তা মিলিয়ে দিয়েছিলেন লোব। ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ সালেও ক্রিকেট বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দলের সঠিক ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তিনি।
এবার বিষয় হল ২০২৩ বিশ্বকাপের কোন কোন অধিনায়কের জন্ম ১৯৮৭ সালে। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জন্ম ২৪ মার্চ, ১৯৮৭ সালে। এছাড়াও ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার জন্ম ৩০ এপ্রিল, ১৯৮৭ সালে। অর্থাৎ লোব-র ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী এই দুটি দেশের মধ্যে একটি দেশ জিতবে এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি। এই ভবিষ্যৎবাণী শোনার পরেই খুশির হওয়া দুই দেশের ক্রিকেট পাগল সমর্থকদের মধ্যে। তবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে অনেক দুর্বল দল। তাই তিনি বিশ্বকাপ জয়ে ভারতকেই এগিয়ে রেখেছেন। রোহিত শর্মার গল্পেও লিওনেল মেসির মতো একই ঘটনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে বিশ্বকাপে নামার আগে প্রস্তুতির কোনও সুযোগ পেলেন না রোহিতরা। ৮ অক্টোবর অজিদের বিরুদ্ধে নামতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। যদিও এর আগে এশিয়া কাপ ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে ভারত। সার্বিকভাবে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে টিম ইন্ডিয়ার সব তারকাই কমবেশি ফর্মে। অন্যদিকে দল ঘোষণায় চরম নাটকীয়তার পর ভারতে এসেছে সাকিববাহিনী। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় জয় পেলেও, দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আগামী ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে সাকিববাহিনী। বিশ্বকাপে ভালো ফলের আশায় তাকিয়ে দুই দেশের সমর্থকরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম