।। প্রথম কলকাতা ।।
Rambai Farming: ভারতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি থেকে শুরু করে ফল ফুল চাষ করা হয়। এমন অনেক ধরনের ফলই ভারতে চাষ করা হয় যেগুলি হয়তো অধিকাংশ মানুষ চেনেন না। সেরকমই ফলের তালিকায় নাম আসে লটকনের (Lotkon)। এটি টক মিষ্টি স্বাদের অল্প কষ যুক্ত সুস্বাদু একটি ফল। পাকলে হলুদ বর্ণের হয়। জাত ভেদে এর স্বাদ কিছুটা বেশি টক হতে পারে। খুব বড় হয় না এই গোলাকার ফলগুলি। লটকন ছাড়াও এই ফলকে রামবায় (Rambai) বলা হয়। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এই ফলটি চাষ করা হয়ে থাকে এছাড়াও বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া প্রভৃতি জায়গায় চাষ (cultivation) হয় লটকনের।
কীভাবে চাষ করা হয় লটকন ফল ?
বলা হয় এই লটকন ফল চাষ করার জন্য বাড়তি কোন জায়গা তেমন প্রয়োজন হয় না। বাড়িতে বাগান কিংবা বড় উঠোন থাকলে ছায়াযুক্ত জায়গায় এই লটকন খুব সহজেই চাষ করা যায়। এর চারা সংগ্রহ করা যায় বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি নার্সারি থেকে চারা রোপণের একেবারে উপযুক্ত সময় হল এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাস। গাছটি পরিণত হলে বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি দিক করে লটকন গাছে ফুল আসে। আর তারপর সেই ফুল থেকে ফল জন্মায়। এই গাছে যেহেতু তেমন রোগবালাই দেখা যায় না তাই অতিরিক্ত যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র লটকন গাছ বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন একটা ছায়াযুক্ত পরিবেশ।
মূলত বেলে দো-আঁশ মাটিতে লটকন চাষ সব থেকে ভালো হয়। উঁচু ও মাঝারি জমি লটকন চাষের জন্য উপযুক্ত। এই গাছের চারা রোপণ করার সময় মাটির গর্ত শুকনো রাখা হয় না। তা জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়। বীজ থেকে যদি চারাগাছ তৈরি করতে হয় তাহলে চারা বপনের পর দুই- একদিন অন্তর জল দিতে হয় । গাছের ডাল যদি কোনো কারণে শুকিয়ে যায় কিংবা অল্পবিস্তর কীট পতঙ্গের উপদ্রব দেখা দেয় তাহলে ডাল ছাঁটাই করে দেওয়াই ভালো।
কেমন দামে বিক্রি হয় লটকন ?
বাংলাদেশের বাজারে পাকা লটকন ফলগুলি খুচরো বিক্রি হয় ৬০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। আর প্রতি কেজিতে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ টি পর্যন্ত লটকন ফল থাকতে পারে। এই ফল মার্বেলের থেকে খানিকটা বড় হয় আকারে। কাঁচা অবস্থায় থাকে সবুজ, পাকলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, নবদ্বীপ এলাকায় এই লটকন চাষ এবং বিক্রি করা হয়।
লটকন ফলের গুণ
এই ফলটি মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। এই ফল শরীরের ওজন কমানো থেকে শুরু করে রক্তশূন্যতা কমানো, জলের ঘাটতি পূরণ করা, খাবারের রুচি আনা এবং মানসিক চাপ কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম