।। প্রথম কলকাতা ।।
Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা হিসেবে প্রতিবছর আত্মপ্রকাশ করে। পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলাকে (Gangasagar Mela) কেন্দ্র করে মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। চলতি বছরেও তার অন্যথা হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খোদ মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে এসেছেন গঙ্গাসাগরে গিয়ে। বিগত কয়েক দিন ধরেই সেখানে মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর আজকের রাত পোহালেই মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti)। তাই দলে দলে পুণ্যার্থীদের আগমন লেগেই রয়েছে। যদিও শনিবার অর্থাৎ আজ বিকেল থেকেই পুণ্যস্নান শুরু করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। আর এই সম্পূর্ণ গঙ্গাসাগর মেলা পরিচালনার দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর (Ministers) হাতে।
চলতি বছরে গঙ্গাসাগর মেলায় মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সম্পূর্ণ মেলাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য এবং দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ঝাঁক মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে গত দুদিন ধরে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীকে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। যেমন শনিবার থেকে কাকদ্বীপ লট ৮এ সবকিছু দেখাশোনার দায়িত্বে থাকছেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
তাঁর সঙ্গ দেবেন পরিবহন প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল। স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাকদ্বীপের তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতে যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখতে। একই রকম ভাবে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন পরিবহন ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী (Snehashish Chakraborty) এবং অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। এছাড়াও রয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে প্রায় ৮৫% কাজ করে থাকে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। কাজেই মেলা শুরু হওয়া থেকে শুরু করে শেষ হওয়া পর্যন্ত এই দফতরের মন্ত্রীকে সেখানেই থাকতে হয়। যেমন চলতি বছরে রয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায় (Pulak Roy)। পাশাপাশি সাগরের বিধায়ক তথা বর্তমানের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা (Bankim Hazra) প্রায় ১০ তারিখ থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণেই রয়েছেন।
গঙ্গাসাগর যেতে গেলে পুণ্যার্থীদের কিছুটা কষ্ট করতে হয়। কারণ সাগর দ্বীপ মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। কলকাতা থেকে কাকদ্বীপে আসতে হয় বাস বা ট্রেনে করে। আর তারপর কাকদ্বীপের লট ৮ থেকে ভেসেল পরিষেবার সাহায্যে যেতে হয় সাগরদ্বীপের কচুবেড়িয়াতে। সেখান থেকে আবার সাগর মেলা প্রাঙ্গণে যাওয়ার জন্য বাস যাত্রাকে বেছে নিতে হয়। এই এতটা দূরত্ব অতিক্রম করতে গিয়ে পুণ্যার্থীদের যাতে কোনরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য প্রত্যেকটি স্টপেজেই রাজ্য প্রশাসনকে কিছু না কিছু ব্যবস্থা করে রাখতে হয়। আর সেই ব্যবস্থাগুলির নজরদারির জন্যই এবারে সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্যের এক একজন মন্ত্রী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম