।। প্রথম কলকাতা ।।
Sandip Chowdhury: প্রয়াত অঞ্জন চৌধুরীর ছেলে সন্দীপ চৌধুরী। শোকের ছায়া বিনোদন জগতে। কিছুদিন আগেই সিরিয়ালের সেটে ব্ল্যাক আউট হয়ে পড়ে যান তিনি। ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। এর পর মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সন্দীপ।
আগে থেকেই তাঁর শরীর ভালো ছিল না। খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি থেকে লিভারের সমস্যা তৈরি হয়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি পড়ত। আর শেষ রক্ষা হল না। একের পর এক সিরিয়াল-ছবি পরিচালনা করেছেন অঞ্জন-পুত্র। আজ বাড়ির ছোট ছেলে চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন চুমকি-রিনা চৌধুরী।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। বেহালার বাড়িতেই স্ত্রী বিদিশা চৌধুরীকে নিয়ে থাকতেন সন্দীপ। কয়েক মাস আগেই প্রয়াত হন অঞ্জন চৌধুরীর (Anjan Choudhury) স্ত্রী জয়শ্রী চৌধুরী। এবার মায়ের পর ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার। অঞ্জন বাবুর দুই মেয়ে অর্থাৎ সন্দীপের দুই দিদি চুমকি (Chumki Chowdhury) আর রিনা (Rina Choudhury)। বাবার সঙ্গে ছেলের খুবই মিল ছিল। বড় মেয়েকে সিনেমায় নিজেই আনেন অঞ্জন চৌধুরী। তার পর ছোট মেয়ে পা রাখে বিনোদন জগতে। বাংলা সিনে দুনিয়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ দুই মেয়ে। পরবর্তীকালে ক্যামেরার পিছনে কাজ করা শুরু করেন সন্দীপ। তিনি ক্যামেরার পিছনে থাকায় তাঁকে সকলে সেভাবে চেনেন নি। অঞ্জন চৌধুরীর শেষ না হওয়া সিরিয়াল ‘এরাও শত্রু’ নিজের দায়িত্বে সুপারহিট করেন সন্দীপ। নায়িকা স্ত্রী বিদিশা ও নায়ক জিতু কমল।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়েও ছবি করেছেন অঞ্জন-পুত্র। ইদানিং তিনটে সিরিয়াল একসঙ্গে শ্যুট করছিলেন তিনি। পর্দায় চলছিল ‘উড়ন তুবড়ি’ (Uron Tubri)। এছাড়া ‘যুগান্তর’, ‘দত্ত বাড়ির ছোট বউ’, ‘বিবি চৌধুরাণী তাঁরই পরিচালিত জনপ্রিয় কিছু সিরিয়াল। বলতে গেলে, জি বাংলা থেকে সান বাংলা সবকটি চ্যানেলেই কাজ করেছেন পরিচালক। ‘আনন্দবাজার অনলাইন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৭ ডিসেম্বর শ্যুটিং ফ্লোরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ইকবালপুর নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবশেষে আজ, ৩ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অঞ্জন-পুত্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম