।। প্রথম কলকাতা ।।
ASI: হঠাৎ করেই গায়েব দেশের প্রায় ৫০টি স্মৃতিসৌধ। এই গায়েব মানে কেউ চুরি করে নিয়ে যায়নি। দেশের মানচিত্র থেকে সম্পূর্ণ ভাবে মুছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের এই দাবি শুনে আপনি হয়ত একটু হতবাক হলেন। ভাবছেন এমনটা আবার হয় নাকি? স্মৃতিসৌধ বলে কথা, তাও আবার ৫০ টি। একত্রে একসঙ্গে গায়েব হওয়ার বিষয়টি একটু বিস্ময়কর। তবে সত্যিই ভারতের বুক থেকে মুছে গিয়েছে প্রায় ৫০ টি ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ। যে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
সংস্কৃতি মন্ত্রক ২০২২ এর ৮ই ডিসেম্বর একটি রিপোর্ট সংসদে জমা দেয়। রিপোর্টটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারতে নিখোঁজ স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতিস্তম্ভের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা’। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, যেখানে ভারতে প্রায় ৩৬৯৩টি স্মৃতিসৌধ থাকার কথা, সেখানে প্রায় ৫০টি কম রয়েছে। বিষয়টি একেবারেই হালকা ছলে নেওয়ার নয়। যার কারণে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
স্মৃতিসৌধ গায়েবের নেপথ্যের কারণ
রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত দ্রুত নগরায়ন, জলাধার আর বাঁধের জলে ডুবে যাওয়ার জন্য বহু স্মৃতিসৌধ সম্পূর্ণভাবে অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে নগরায়ন। যার কোপ পড়ছে স্মৃতিসৌধ গুলিতে। যে ৫০টি স্মৃতিসৌধ অবলুপ্ত হয়েছে তার মধ্যে শুধুমাত্র ১১টি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। ২টি রয়েছে দিল্লি এবং হরিয়ানায়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও মুছে গিয়েছে ১টি ঐতিহাসিক সৌধ। ইতিমধ্যেই রিপোর্টটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। রাতারাতি শুরু হয়েছে খোঁজখবর।
মুছে যাওয়া স্মৃতিসৌধ গুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি মুঘল আমলের। তার থেকেও বেশি পুরনো সময়ের রয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আমলারা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। ৫০টির মধ্যে ১৪টি স্মৃতিসৌধ অবলুপ্ত হয়েছে শুধুমাত্র নগরায়নের কারণে। জলাধারের জলে মিশে গিয়েছে ১২টি স্মৃতিসৌধ। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archaeological Survey of India)।
স্মৃতিসৌধকে কেন্দ্র করে কম ঝামেলা তৈরি হয়নি। নানান ধরনের মামলার ঝামেলা সামলাচ্ছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archaeological Survey of India)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছড়িয়ে থাকা নানান ঐতিহাসিক স্মারকগুলিতে জমি দখলদারি এবং উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই যে ৫০টি স্মৃতিসৌধ হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গিয়েছে, এই বিষয়ে চিন্তায় পড়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। কারণ এগুলি ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধ, যা একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম