।। প্রথম কলকাতা ।।
Didir Suraksha Kavach : ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। আর এবার ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। নতুন বছরের ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রকল্প। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে এই ঘোষণা করেন দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিন জানান, দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kavach) প্রকল্পের অন্তর্গত প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ তৃণমূল স্বেচ্ছাসেবক রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল ঐক্যশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী , যুবশ্রী, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথীর মতো ১৫ টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ খবর নেওয়া। রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছাবেন তৃণমূলের এই স্বেচ্ছাসেবকরা। তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের সুবিধা এবং অসুবিধা জানতে চাইবেন। যদি কোন পরিবার উল্লেখিত সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত থাকে তাহলে তাঁরা সুবিধা পেতে কী কী করতে পারেন এই সমস্ত বিষয়ে পরামর্শ দেবেন ওই স্বেচ্ছাসেবক বা ‘দিদির দূতেরা’।
এদিন দলীয় বৈঠকে জানানো হয়েছে, এবার রাজ্য স্তরে তৃণমূল নেতৃত্বদের দায়িত্ব আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে অন্ততপক্ষে ১০ দিন করে গ্রামে রাত্রিযাপন করতে হবে। তাঁরা গ্রামের মানুষদের সঙ্গেই থাকবেন। তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। তাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন এবং তাদের কাছ থেকে কোনরকম পরামর্শ আসলে সেটাকেও গ্রহণ করবেন। এর পরেই দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির অন্তর্গত স্বেচ্ছাসেবকরা ওই গ্রামীণ পরিবারগুলির কাছে পৌঁছে যাবেন।
নজরুল মঞ্চের (Nazrul Mancha) এই দলীয় বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে যেভাবে মানুষের দরজায় সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ঠিক দিদির সুরক্ষা কবচের মাধ্যমেও এই কাজটি করা হবে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামটি তাঁর দেওয়া নয়। বরং দিয়েছে যুব তৃণমূল যারা তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলে রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৬০ দিন ধরে এই কর্মসূচি বুথস্তর গুলিতে চলবে। প্রকৃত যারা উপভোক্তা তাঁরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা কতটা পাচ্ছেন এবং সঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়টির উপর এবার কড়া নজরদারি চলবে।
এছাড়াও তিনি রাজ্যবাসীর সুবিধার জন্য ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) এই অ্যাপের কথা উল্লেখ করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানান, গুগল প্লে স্টোরের ( Google Play Store) এর মাধ্যমে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে । সেখান থেকেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প গুলির সুযোগ সুবিধা পেয়ে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই অ্যাপ পৌঁছে যেতে পারবে রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষের কাছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম