।। প্রথম কলকাতা ।।
Swastha Sathi: রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swastha Sathi Card)। তবে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে জনসাধারণকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির গাফিলতি নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফ থেকেও রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে বকেয়া টাকা না মেটানোর মতো অভিযোগ উঠেছিল। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের ভিড়ে এবার রাজ্যের তরফ থেকে একগুচ্ছ কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবায় (Treatment) কোনরকম বেনিয়মের অভিযোগ মানা হবে না। রাজ্যের তরফ থেকে বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল । কিন্তু তারপরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় এবার আরও কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার।
রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী :
১. পরীক্ষা না করে চিকিৎসা শুরু করার আগেই রোগীকে রেফার (Refer) করে দিলে প্যাকেজের কোন টাকা পাবে না বেসরকারি হাসপাতাল।
২. কোন রোগীর অস্ত্রোপচার (Operation) করতে গিয়ে যদি সেই হাসপাতালে তা করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্যাকেজের মাত্র ৩৫ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল গুলি পাবে।
৩. অস্ত্রোপচার যদি কোন বেসরকারি হাসপাতাল আংশিক করতে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ টাকা পাওয়া যাবে।
৪. গলব্লাডার কিংবা কিডনির পাথর যদি সম্পূর্ণ বের না করা যায় তাহলে সেই বেসরকারি হাসপাতাল পুরো প্যাকেজের ৬০ শতাংশ পাবে।
৫ . অস্ত্রোপচার করার ক্ষেত্রে যদি কোন হাসপাতাল ব্যর্থ হয় তাহলে মোট প্যাকেজের মাত্র ৩০ শতাংশ পাবেন তাঁরা।
৬. অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ার আগেই যদি হাসপাতালে মৃত্যু হয় রোগীর সে ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ টাকা মিলবে।
৭. অস্ত্রপাচার চলাকালীন কিংবা অস্ত্রপ্রচারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি রোগীর মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা পেতে পারে বেসরকারি হাসপাতালটি।
৮. এমন কোন রোগী যার অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন নেই কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিনের মাথায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে ক্ষেত্রে ওই রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালকে ১৫ শতাংশ টাকা দেওয়া হবে।
৯. আর যদি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করানোর পর রোগী ছুটি পাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে মারা যান, তাহলে হাসপাতাল সম্পূর্ণ টাকা না পেলেও প্যাকেজের ৮৫ শতাংশ টাকা পাবে।
নির্দেশিকা সংক্রান্ত বিষয়ে এমনটাই জানা গিয়েছে ‘এবিপি’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালের (Non-Government Hospital) বেনিয়ম রুখতেই এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক বার এমন অভিযোগ উঠে এসেছে যেখানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী চিকিৎসা করাবেন বলে কখনও বেড নেই এই অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে । কখনও বা রোগীর পরিবারের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সাথীর প্যাকেজের থেকেও বেশি টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্যই এমন কঠোর নির্দেশিকা (Instructions)।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম