।। প্রথম কলকাতা ।।
Chinese pumpkin cultivation: আমাদের রান্নাঘরের পুষ্টিকর জনপ্রিয় সবজি কুমড়ো। চাইনিজ কুমড়ো আরও ভালো স্বাদের। বাজারে এই সবজির চাহিদা থাকে সারাবছর। সাধারণ কুমড়োর বদলে সঠিক পদ্ধতিতে চাইনিজ কুমড়ো চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
চাইনিজ কুমড়ো (Chinese pumpkin) চাষের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু প্রয়োজন। তাপমাত্রা কমে গেলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। ফলন কম হয়। সাধারনত দোআঁশ মাটি এই কুমড়ো চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।
সারা বছরই চাইনিজ কুমড়োর চাষ করা যায়। তবে যদি শীতকালীন ফসল হিসেবে চাষ করতে চায় তাহলে অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বীজ বসাতে হবে। গ্রীষ্মকালীন ফসল হিসেবে চাষ করতে হলে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বীজ বসানোর করার উপযুক্ত সময়। উন্নত ফলন পেতে হলে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজ বপন করা উচিত।
চাইনিজ কুমড়ো চাষের জন্য সাধারনত এক বিঘা জমিতে ৬৫০-৮০০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়ে থাকে। এক হেক্টর জমিতে ৫-৬ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বীজ বোনার আগে জমি ভালো ভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে। জমির মাটি ঝুরঝুরা করে দিতে হবে। চারা সাধারনত পলিব্যাগে তৈরি করা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা ভালো। পলিব্যাগের আকার ৩-৪ ইঞ্চি হতে হবে। পলিব্যাগ থেকে জল নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে এজন্য পলিব্যাগের নিচে ছিদ্র করে দিতে হবে। বীজ বপন করার আগে ১৫-২০ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ জলে ভিজিয়ে রাখতে বীজের অঙ্কুরোদগম দ্রুত হয়। বীজ থেকে চারা দ্রুত গজায়। একটি পলি ব্যাগে দুটি করে বীজ বপন করতে হবে। একটু গভীর করে বীজ বপন করতে হবে।
বীজ থেকে চারা উৎপন্ন হওয়ার ১৫-১৬ দিন পর চারা জমিতে লাগানোর জন্য উপযুক্ত হয়। ব্লেড দিয়ে পলিব্যাগে (poly bag) কেটে তারপর চারা বের করা হয়। মাটির দলা সহ চারা টি গর্তে বসিয়ে চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। চারা লাগানোর সময় খেয়াল করতে হবে চারার শেকড় যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। চারা গাছটি যেন গর্তের ঠিক মাঝখানে থাকে। চারার শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত হলে গাছের বৃদ্ধি কমে যাবে।
উন্নত ফলন পেতে হলে জমিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটির উর্বরতার ওপর ভিত্তি করে জমিতে সার (Fertilizer) প্রয়োগ করতে হবে।জমিতে জৈব সারের পরিমান বেশি থাকা ভালো। তাতে ফলন ভালো হয়। বীজ বোনার ১০-১৫ দিন আগে প্রতিটি প্লটে ১০-১৫ কেজি গোবর সার দিতে হবে। এবং প্রতি পিটে ডিএপি ৫০ গ্রাম, এমপি ৪০ গ্রাম, জিপসাম ৪০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। সার ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
জমিতে আগাছা জমলে তা সরিয়ে দিতে হবে।আগাছা গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং মাটি (soil) থেকে পুষ্টি শোষন করে নেয়। গাছ একটু বড় হলে মাচা তৈরি করে দিতে হবে। মাচা তৈরি করে দিলে ফসলের ফলন ভালো হয়।
বীজ (seed) বোনা ২ মাস পর গাছে ফল ধারন শুরু হয়। গাছে পরাগায়ন হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যেই সবজি খাওয়ার উপযুক্ত হয়। ১ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ২০ টন ফসল পাওয়া যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম