।। প্রথম কলকাতা ।।
Corona situation meeting: এখনই লকডাউনের মত বড় পদক্ষেপে যাচ্ছেনা রাজ্য। তবে করোনা পরিস্থিতির উপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। কোন জেলায় কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন সেই তথ্য নিয়মিত পর্যালোচনা করা হবে। দেশজুড়ে ফের করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi)। বুধবার নবান্নে বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালরা। এই বৈঠকে জেলাগুলিকে সচেতন থাকার নির্দেশ দেন।
সেই বৈঠকে জানা গিয়েছে, এখনই কোনও বড় বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে চায় না রাজ্য (State) সরকার। তবে, জেলাভিত্তিতে করোনা আক্রান্তদের ওপর বিশেষ নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা এখনও বুস্টার ডোজ নেইনি, তাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ানো হবে। পাশাপশি, টেস্ট (Test) বাড়ানোর দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। কোভিডকালে সবথেকে বেশি সঙ্কট হয় অক্সিজেনের। তাই অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে সব হাসপাতালগুলিতে। বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়াতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবারই রাজ্যের ৪৫টি হাসপাতালে মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা সবই খতিয়ে দেখা হয়। এরপর ছিল এই দিনের পর্যালোচনা বৈঠক। বৈঠকে মুখ্য সচিবের বক্তব্য থেকে যা জানা গিয়েছে তাতে এখনই কোন বড় বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তবে জেলাগুলিকে করোনার (COVID) সংক্রমনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। জেলায় জেলায় করোনা আক্রান্তদের ওপর বিশেষ নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিধি নিষেধ আরোপ না হলেও চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি রাখার ক্ষেত্রে কোন রকম ফাঁক রাখা হচ্ছে না।কোভিডের জন্য রাজ্য জুড়ে ৩,৭১৮টি বেড রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা এখনও বুস্টার ডোজ (booster dose) নেয়নি তাদের তা দেওয়ার দিকে জোর হচ্ছে। এতদিন বয়স্ক বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছিল সরকারি উদ্যোগে বাকিদের কম মূল্যে বেসরকারি সংস্থা থেকে কিনে নিতে বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে কেন্দ্রকে জানানো হবে বলে জানান মুখ্যসচিব৷ সেইসঙ্গে জেলাগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কোভিডের (COVID) কিট রাখা হয় তা দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি নিষেধের পথে রাজ্য সরকার এখনই হাঁটতে না চাইলেও করোনা পরীক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জ্বর সহ করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সেই ব্যক্তিকে দ্রুত পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসার ওপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিত করা তাকে অন্যান্যদের থেকে দূরে সরিয়ে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার ওপর বাড়তি জোর দিতে বলা হচ্ছে।
অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে করোনার সময় অক্সিজেনের সবচেয়ে বেশি সংকট তৈরি হয়। তাই সব হাসপাতালকে অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটরের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
ভারতে বেশ কিছু বিদেশ ফেরত পর্যটকদের শরীরে কোভিড ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। সম্প্রতি বাংলায় দু’জন বিদেশ ফেরতের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর কলকাতা বিমানবন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে এক ব্রিটিশ মহিলার করোনা ভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দমদম বিমানবন্দর থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতা হয়ে বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন তিনি। ওই অস্ট্রেলিয় মহিলার নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিমানে আগত যাত্রীদের প্রতি বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম