।। প্রথম কলকাতা ।।
Howrah Shootout: নিজেদের গাড়ি করেই ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসছিলেন কুমার পরিবার। কিন্তু হাওড়ার বাগনানে (Howrah Bagnan) এসে পৌঁছাতেই তাদের সঙ্গে ঘটে যায় চরম অকল্পনীয় একটি ঘটনা। দুষ্কৃতীদের কবলে পড়েন তাঁরা। লুটপাটে বাধা দিতে গেলে চালানো হয় গুলি। আর সেই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় রিয়া কুমারী নামে এক মহিলার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে মৃত (Death) ওই মহিলার (Woman) স্বামীর প্রকাশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
প্রকাশ বাবু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁরা ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসছিলেন নিজেদের গাড়ি করেই। সে গাড়িতে ছিলেন প্রকাশ, তাঁর স্ত্রী রিয়া এবং তাদের আড়াই বছরের শিশু কন্যা। বুধবার ভোর ছ’টা নাগাদ তাঁরা এসে পৌঁছান বাগনানের মহিষরেখা সেতুর কাছে। শৌচকর্ম সারতে সেখানেই গাড়ি থামিয়ে ছিলেন প্রকাশ। তিনি গাড়ি থেকে নেমে যেতেই ছিনতাইকারীরা গাড়ি ঘেরাও করে। তিনজনের ওই দুষ্কৃতী দল লুটপাট করার চেষ্টা চালালে রিয়া তাতে বাধা দেন । আর সেই সময় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ (point Blank Range) থেকে গুলি করা হয় রিয়াকে।
গুলিটি এসে লাগে তাঁর কানের পাশে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় রিয়ার। যদিও সেখান থেকে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী দল। প্রকাশ জানান, সেই মুহূর্তে তিনি ওই এলাকায় কোনরকম সাহায্য পাননি। যার কারণে নিজেই গাড়ি চালিয়ে রাজাপুর থানার পীরতলায় এসে উপস্থিত হন। একটি চায়ের দোকানে থাকা বেশ কয়েকজনকে এই ঘটনার কথা খুলে বলেন। আর তারপর এলাকার লোকজনের তরফ থেকেও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি রিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেরিয়া মহকুমা হাসপাতালে কিন্তু বহু আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বর্তমানে এই সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রিয়ার খুনের নেপথ্যে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন। এই খুনের ঘটনার নেপথ্যে শুধুমাত্র ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য ছিল নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোন তথ্য রয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষ বলে মনে করছে পুলিশ। কারণ প্রকাশ বাবুর ওই জায়গায় গাড়ি থামানো, গাড়ি থেকে নেমে যাওয়া আর তারপর ছিনতাইকারীদের হামলা সবকিছুতেই বর্তমানে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে পুলিশ। যার কারণে প্রকাশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ এই ঘটনার জট ছাড়ানোর জন্য অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম