।। প্রথম কলকাতা ।।
Covid Nasal Vaccine: পড়শি দেশ চিনে সংক্রমণ যেভাবে আছড়ে পড়েছে তাতে ভারতীয়দের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয়। স্বাভাবিকভাবেই চিনের পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলি। ভারত সরকার বর্তমানে কোভিড (Covid) প্রতিরোধ করার জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলিতে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মত পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের তরফ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে (Nasal Vaccine)।
তবে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে ইনজেকশনের (Injection) মাধ্যমে টিকা প্রয়োগ নাকি নাকে ড্রপের মাধ্যমে এই নেজাল ভ্যাকসিন কোনটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য আদর্শ। এই নিয়ে চিকিৎসকদের তরফ থেকেও একাধিক মতামত উঠে এসেছে। দুটি টিকার মধ্যে কোনটি কতটা কার্যকরী চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
প্রথমত ইনজেকশনের মাধ্যমে যখন কোন রোগ প্রতিরোধক টিকা দেওয়া হয় সেটি পেশিতে যায়। আর তারপর শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা করে তোলে। ওই টিকার মাধ্যমে শরীরের মধ্যে থাকা সংক্রামিত কোষগুলি নষ্ট হয়। পরবর্তীতে সেই টিকায় অ্যান্টিবডি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আর আগামী দিনে যদি একই ভাইরাস পুনরায় আক্রমণ করে তাহলে শরীর তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আগে থেকেই খানিকটা প্রস্তুত থাকে। কিন্তু এই টিকা সারা শরীরে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারলেও নাক ও ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছতে পারে না।
এখানেই গবেষণায় কয়েক পয়েন্ট বেশি পেয়েছে এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন , এটি সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। যার ফলে সারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সহজ হয়। এছাড়াও ন্যাজাল ভ্যাকসিন নাক ও শ্বাসনালীতে উপস্থিত রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলিকে আরও সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু এমন কোন ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হবে না যেটা দীর্ঘ মেয়াদী নয় । ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন দীর্ঘদিন নাকে তার অস্তিত্ব বজায় রাখবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। ১৮ বছরের ওপরে যারা রয়েছেন তাঁরা বুস্টার ডোজ (Booster Dose) হিসেবে ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তবে আগে দুটো টিকা তাদের নেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র সরকারের কো-উইন অ্যাপে যুক্ত করা হবে । বর্তমানে কেন্দ্র ন্যাজাল ভ্যাকসিনের দাম বেঁধে দিয়েছে। জিএসটি ছাড়া এর দাম ৮০০ টাকা । কিন্তু জিএসটি দিয়ে এক একটি ভ্যাকসিন পিছু খরচ পড়বে প্রায় এক হাজার টাকা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম