।। প্রথম কলকাতা ।।
Cordyceps: চীন (China) কেন বারংবার সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে চায়? এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কম বিবাদ নেই। এবার প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর দাবি। চীনা সৈন্যরা নাকি অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে সোনার চেয়ে দামি এক ছত্রাক(Fungus) সংগ্রহের জন্য। এই বিশেষ ছত্রাকের জন্যই চীনা সৈন্যরা বারংবার অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা চালায়। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইন্দোপ্যাসিফিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস এর একটি প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিপলস লিবারেশনস আর্মির (People’s Liberation Army) সৈন্যরা এক মূল্যবান ছত্রাক সংগ্রহ করতে ভারতের অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করেছিল। যা প্রায়শই ঐতিহ্যগত ওষুধে ব্যবহৃত হয়। চীনের বহু মানুষ কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়াই পুরুষত্বহীনতা থেকে হজম, কিডনি সহ নানান সমস্যায় এই প্রতিষেধকের খোঁজ করেন। এটি হল কর্ডিসেপস। চীন কর্ডিসেপসের (Cordyceps) বৃহত্তম উৎপাদক এবং রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে চীনে এই ছত্রাকের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে, অথচ ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে এই ভেষজ ওষুধের সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন সৈন্যরা।
কর্ডিসেপস (Cordyceps) মূলত পোকামাকড়ের লার্ভাতে জন্মায়। একে বলা হয় পরজীবী ছত্রাক। এটি সহজেই কোনো পোকামাকড়কে সংক্রমিত করে তারপর তার মৃতদেহ থেকে বেড়ে ওঠে। একে অনেকে শুয়োপোকা ছত্রাক বা হিমালয়ী সোনা বলে থাকেন। যদিও সীমারেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা সৈন্যদের প্রবেশকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
কর্ডিসেপস নাকি চীনে সোনার থেকেও দামি। এটি মূলত পাওয়া যায় ভারতীয় হিমালয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কিংহাই-তিব্বত মালভূমির উচ্চ উচ্চতায়। বিশ্বব্যাপী ২০২২ সালে চীনে এই ছত্রাকের বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১০৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনে এক বছরে এর উৎপাদন কমেছে প্রায় ৫.২%। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চাহিদা বেশি অথচ সীমিত সম্পদের কারণে চীনা মানুষরা এটির দিকে একটু বেশি ঝুঁকছেন। IPCSC এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চীনে এর উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ২০০ কেজি। অথচ ২০১০ এবং ২০১১ সালে এর উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম