।। প্রথম কলকাতা।।
Safa Kabir: সংবাদমাধ্যমের লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবার নাটক তৈরি হচ্ছে ওপার বাংলায়। নাটকের নাম ‘জীবন যেখানে যেমন’ (Jibon Jekhane Jemon)। পরিচালক আলোক হাসান (Alok Hasan)। তা কোন সংবাদমাধ্যমের লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এই পরিচালক? এমন কী নিয়ে লেখা ছিল সেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে? ২০২১-এর ১৭ ডিসেম্বর ‘বাসের হেলপারি করি, খারাপ কাজ তো করি না’ শিরোনামে ‘প্রথম আলো’ সংবাদ মাধ্যমের রাজধানী পাতায় একটি লেখা ছাপা হয়েছিল। লেখাটি ছিল বেসরকারি বাসের চালকের সহকারী ভাবনা আক্তারকে নিয়ে। আর সেই লেখা হাসানকে অনুপ্রাণিত করে নাটকটি তৈরি করার জন্য।
শুক্রবার ঢাকার (Dhaka) বিভিন্ন অংশে শেষ হয়েছে এই নাটকের শ্যুটিং। ভাবনা আক্তারের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সাফা কবির (Safa Kabir)। ‘প্রথম আলো’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরিচালক জানিয়েছেন, ‘কাজটি বর্তমান প্রাসঙ্গিক। বেসরকারির পাশাপাশি এখন তো সরকারের বিআরটিসি বাসে নারী সহকারীর ব্যবস্থা আছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও স্বাধীনভাবে এই পেশায় যোগ দিতে পারে। নাটকের এই বিষয়টি তুলে আনতে পারলে, অনেকেই দেখার সুযোগ পাবে। অন্যান্য মেয়েদেরকে উৎসাহিত করবে এটি’।
নাটকে ভাবনা আক্তারের চরিত্রে ‘পারুল’ নামে অভিনয় করছেন সাফা কবির। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের চরিত্রে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রথম। বলেন, ‘পরিচালক আমাকে পত্রিকার পাতার গল্পটি শোনান। আর তখনই মনে হয় এটি একটি ভিন্ন রকমের কাজ হতে পারে। তার পর নিজে তা পড়ি এবং পরে চিত্রনাট্যটি পড়ে বেশ ভালো লাগে। সমাজে এর দরুন একটি বার্তা পৌঁছাবে। আমরা অভিনয় করি, শুধু নাটক করার জন্য করি না। চরিত্রগুলো সমাজের কথা বলে। আর ভাবনা সেরকমই একটি চরিত্র। এই নাটকের মাধ্যমে সমাজের কাছে এক আলাদা বার্তা পৌঁছাবে’।নাটকটি লিখেছেন শফিকুর রহমান। সাফা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নাটকে অভিনয় করছেন মনোজ প্রামাণিক (Manoj Pramanik), শম্পা নিজাম, আমানুল হক। রাজধানীর কড়াইল বস্তি সহ শাপলা চত্বর, কুড়িল ফ্লাইওভার ও আব্দুল্লাহপুরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নাটকের শ্যুটিং হয়েছে। কিন্তু যাঁকে কেন্দ্র করে এই নাটক, তাঁর কাহিনীটা আসলে কী?
প্রসঙ্গত, চালকের সেই সহকারী ভাবনা ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এর আগে একটি দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। মার্কেটে দোকানের কাজ তুলনামূলক ছিল সহজ, কিন্তু সময় দিতে হতো অনেকটা। আর মার্কেট বন্ধ হলে, বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যেত। সংসারের কাজ করা হতো না। আর এখনকার কাজটা কঠিন, কিন্তু সম্মানের। শুক্র ও শনি পাওয়া যায় ছুটি। বিভিন্ন দিবসে ছুটি পাওয়া যায়। সকালে ডিউটি থাকলে বেলা দুটোর মধ্যে আর বিকেলে ডিউটি থাকলে রাত আটটার মধ্যে বাড়ি। সেইসঙ্গে ভয় থাকে না বেতন কাটার। আর এই গল্পকে কেন্দ্র করেই ওপার বাংলায় তৈরি হচ্ছে নাটক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম