।। প্রথম কলকাতা ।।
Aquarium : মানুষ সৌন্দর্যের পূজারি। প্রকৃতির (Nature) বিচিত্র বাহারই মাছ যখন স্বচ্ছ কাঁচের জলজবাগানে ঘুরে বেড়ায় তা দেখতে কার না ভালো লাগে। একুরিয়াম হচ্ছে এমন ধরনের চারদিক কাচ ঘেরা জল ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাত্র যেখানে মাছ, উদ্ভিদ রাখা সম্ভব। একুরিয়াম কেবল শখ কিংবা শোভাবর্ধনকারী নয় এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে বেশ।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একুরিয়াম ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলে। যদি একটা সময় একুরিয়ামে মাছ (Fish )পালন ছিল ব্যয় সাধ্য। কিন্তু এখন তা নয়। সৌখিনতা এবং ক্রয় ক্ষমতার কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে একুরিয়াম। ইচ্ছে করলে আপনি অংশীদার হতে পারেন।
একুরিয়াম ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় কারণ হল এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া। এখন মানুষ পোষা কুকুর বিড়াল বা পোষা পাখি পালনের জন্য বেশি আগ্রহী। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বা ঘরের সামুদ্রিক একটা ছোঁয়া পেতে অনেকেই নিয়ে আসছেন অ্যাকোরিয়াম। একুরিয়ামের কাস্টমার দোকানে শুধু একুরিয়াম কিনতে আসেন না মাছ মাছের খাবার (Food) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে আসে। সাধারণত একুরিয়ামে যেসব মাছ পালন করা হয় সেগুলো বিদেশি জাতের মাছ। একটা সময় এই একুরিয়ামের দাম অনেক বেশি থাকলেও এখন সাধ্যের মধ্যে।
বর্তমানে একুরিয়ামের বাজার সম্ভাবনাময় একটি বাজার। তাই একুরিয়ামের ব্যবসা আপনি করতে পারেন। একুরিয়ামের ব্যবসা শুরু করার আগে সর্বপ্রথম দেখে নিতে হবে ব্যবসাটি যেখানে করবেন সেখানে একুরিয়ামের চাহিদা আছে কিনা। ঠিক করার পর দোকানের ফার্নিচারগুলোর মধ্যে নিজের জন্য বড় দুটি একুরিয়াম রাখবেন যেখানে আপনার মাছগুলো রাখবেন। তারপর বিক্রির জন্য কয়েকটি একুরিয়াম বানিয়ে নেবেন। এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা দামের একুরিয়াম দিয়ে শুরু করবেন। ছোট জারগুলো আনবেন। একুরিয়াম আপনি নিজে তৈরি করতে পারেন। সাজানোর জন্য পাথর, ইয়ার মোটর ফিল্টার রাবারের ফ্লেক্সিবল পাইপ ইত্যাদি নিয়ে আসবেন।
কোন ব্যবসায় কত টাকার পুঁজি লাগবে সেটা মূলত নির্ভর করে কোথায় এবং কেমন পরিসরে ব্যবসাটি শুরু করবেন। একুরিয়াম ব্যবসা করতে প্রথমে ফার্নিচার বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। অন্যান্য জিনিস কিনতে ধরুন ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। সরকারি বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্রের জন্য আপনাকে আরো দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করতে হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম