।। প্রথম কলকাতা ।।
Vinayaka Chaturthi: জীবনের সমস্ত বাধা কাটিয়ে নতুন বছর (New Year) যদি ভালো কাটাতে চান তাহলে সামনেই রয়েছে একটি শুভ দিন। ২০২২ সালের শেষ বিনায়ক চতুর্থী পড়েছে ২৬শে ডিসেম্বর। হিন্দু ধর্মে ভগবান গণেশ বিঘ্ন বিনাশকারী হিসেবে পরিচিত। ভক্তগণ শ্রদ্ধা সহকারে বাধা মুক্ত জীবনের জন্য গণেশের উদ্দেশ্যে উপবাস পালন করেন। প্রতি মাসে দুবার গণেশ চতুর্থীর থাকে। একটি কৃষ্ণপক্ষের সংকষ্টি চতুর্থী এবং অপরটি শুক্লপক্ষের বিনায়ক চতুর্থী। বছরের শেষ বিনায়ক চতুর্থী (Vinayaka Chaturthi) পালিত হবে পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে অর্থাৎ ২৬শে ডিসেম্বর।
বিনায়ক চতুর্থীর শুভ সময়
২৬শে ডিসেম্বর, সোমবার
চতুর্থী শুরু – ২৬শে ডিসেম্বর, ভোর ৪টে ৫১ মিনিট থেকে
চতুর্থী শেষ- ২৭শে ডিসেম্বর, রাত ১টা ৩৭মিনিটে
পুজোর শুভ মুহূর্ত- ২৬শে ডিসেম্বর, সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত
হিন্দু সংস্কৃতি অনুযায়ী, ভগবান গণেশ হলেন শিব এবং দেবী পার্বতীর সন্তান। যিনি সমস্ত বাধার ধ্বংসকারী। তাই ভগবান গণেশকে মঙ্গলকর্তা বলা হয়। কথিত আছে যে ভক্তরা পূর্ণ ভক্তি এবং নিষ্ঠার সঙ্গে বিনায়ক চতুর্থীর (Vinayaka Chaturthi) উপবাস পালন করবেন, ভগবান গণেশের আশীর্বাদে তাদের জীবন সুখ সমৃদ্ধি এবং ধন-সম্পদে সমৃদ্ধ হবে। ভগবান গণেশকে অন্য যে কোনো দেবতার আগে আরাধনা করা হয়। কোন আচার, পুজো কিংবা শুভ কাজের আগে প্রথমে গণেশের স্মরণ করা হয়ে থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, যারা সাংসারিক জীবনে জটিল সমস্যায় ভুগছেন কিংবা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন তাদের ভগবান গণেশের আশীর্বাদ নেওয়া উচিত। ভগবানের আশীর্বাদে জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তি দূর হয়। বিশেষ করে যারা নিঃসন্তান তাদের বছরের প্রত্যেকটি চতুর্থীতে উপবাস করা উচিত। এই উপবাস পালনে ভগবান গণেশ ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন।
পুজো পদ্ধতি
- চতুর্থীর দিন খুব ভোরে উঠে স্নান সেরে শুদ্ধ বসন পরিধান করবেন।
- স্নানের পরে একটি কাঠের তক্তার উপর ভগবান গণেশের মূর্তি রাখবেন। তারপর ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালাবেন। প্রদীপ ছাড়াও অর্ঘ্যে রাখবেন হলুদ ফুলের মালা, কুমকুম এবং দূর্বা। এই উপাদান গুলি ভগবান গণেশের খুব প্রিয়। লাড্ডু কিংবা মোদক নিবেদন করতে ভুলবেন না।
- পুজোর আগে ভগবান গণেশের মন্ত্র ‘ওম শ্রী গনেশায় নমঃ’ জপ করবেন। পাশাপাশি বিনায়ক কথা এবং প্রভু গণেশ আরতি পাঠ করতে পারেন।
- যে ভক্তরা এই দিন উপবাস রাখতে পারেন না তারা ভগবান গণেশের মন্দিরে গিয়ে পঞ্চামৃত দিয়ে গণেশকে অভিষেক করাতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন দুধ,চিনি, মধু,দই আর ঘি। সন্ধ্যায় ভগবান গণেশের উপাসনা এবং অর্ঘ্য অর্পণের পর উপবাস ভাঙতে পারেন। তারপর সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোগ বিতরণ করবেন। ভোগ প্রসাদ হবে সাত্ত্বিক।
- এই উপবাসে চাঁদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বিনায়ক চতুর্থীতে (Vinayaka Chaturthi) সন্ধ্যায় চাঁদকে জল নিবেদন করলে শুভ ফল মেলে। এরপর সাত্ত্বিক খাবার খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম