।। প্রথম কলকাতা ।।
Covid Situation in China: চিনের পরিস্থিতি ক্রমশ গোটা বিশ্বের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ২০২০ সালে যে ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল সে দেশে, ২০২২ এর শেষের দিকে দাঁড়িয়ে পুনরায় একই পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে চিন। করোনার বিএফ. ৭ ( BF. 7) উপপ্রজাতি তার দাপট দেখাচ্ছে চিনে (China)। যার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মিলছে না। যা চিন্তার আরও বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, চিনের মর্গগুলিতে মৃতদেহ উপচে পড়ার জোগাড়। রীতিমতো শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গিয়েও ভিড় দেখা গিয়েছে সেদেশ। মঙ্গোলিয়ায় প্রথম গত অক্টোবর মাসের ৪ তারিখ নাগাদ কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যদিও প্রথমদিকে বেজিং প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, যারা কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছেন তাঁরা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে পারবেন। তবে শক্তিশালী কোন প্রতিষেধক না নেওয়ার কারণে বিপুল সংখ্যক জনগণের মধ্যে আবার দেখা গিয়েছে এই রোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডের নয়া উপরূপ বিএফ. ৭ আগের উপরূপটির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। আর তার কারণেই চিনের হাসপাতাল গুলি বর্তমানে প্রায় বেড শূন্য । সে দেশের একাধিক জায়গায় প্রতিটি পরিবারের অন্ততপক্ষে একজন সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চিনের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু (WHO) – এর প্রধান ট্রেডস অ্যাডানম গিব্রেয়েসাস চিনকে সঠিক তথ্য সামনে আনার কথা বলেন। তাঁর দাবি , চিন পুনরায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা গোপন করার চেষ্টা করছে। যা বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সঠিক শক্তিশালী প্রতিষেধক ব্যবহার করে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হু এর তরফ থেকে। অন্যদিকে পূর্বের মতো ভুল করতে চাইছে না বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি। তাই প্রতিবেশী দেশ ভারত কোভিড নিয়ে আগে ভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করতে চাইছে। ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য দেশের কোভিড পরীক্ষা (Covid Test) বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। একই রকম ভাবে প্রাপ্ত নমুনার ভিত্তিতে জিনোম সিকুয়েন্সিং করার বিষয়টিতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন তিনি।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে একাধিক সতর্কবার্তা জারি করেন। আপাতত এই দেশে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব তেমন ভাবে না পড়লেও তিনজনের শরীরে বিএফ. ৭ এর হদিশ মিলেছে । তাই দূরত্ব বিধি এবং সানটাইজার ব্যবহারকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । ফিরিয়ে আনা হয়েছে মাস্ক কালচার । বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দেশবাসীকে নিয়মিত মাস্ক পড়ার আর্জি জানান। এছাড়াও রাজ্যগুলিকে স্থানীয় স্তরে বুস্টার ডোজ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম