।। প্রথম কলকাতা ।।
Christmas Destination 2022: ২৫ ডিসেম্বর আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা বলাই যায়। মাঝে রয়েছে মাত্র দুটি দিন। তারপর উইকেন্ডে সেলিব্রেট করা হবে বড়দিন। তার উপরে আবার আসছে ইয়ার এন্ডিং হলিডে। তাই এই সময়টার সদ্ব্যবহার করতে চাইবেন সকলেই। কারও কাছে হলি ডে মানে পরিবার পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানো। কেউ আবার নিজের মতো করেই ছুটিগুলি কাটাবেন। তার মধ্যেও একাংশ এমন রয়েছে যারা ছুটি মানেই বোঝেন ঘুরতে যাওয়া। শীতকালে ক্রিসমাস আর বছর শেষের ছুটিতে খানিকটা বরফের চাদরে ঢাকলে কেমন হয় ? তার জন্য রাজ্যের বাইরে কোথাও যেতে হবে না।
কারন আপনার রাজ্যের উত্তরই রয়েছে এমন বেশ কতগুলি জায়গা। ডিসেম্বর থেকেই সেখানে তুষারপাত শুরু হয়ে যায়। আর তারপর হিমালয়ের কোলে থাকা ছোট ছোট গ্রাম গুলি শীতের সময় ওই সাদা বরফের ঢেকে ফেলে নিজেদের। কিছু কিছু গ্রামে বরফ না পড়লেও তাদের আবহাওয়া থাকে মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ২০২২ এর শেষের ক’দিনের ছুটিতে যদি উত্তরবঙ্গের এই জায়গা গুলিতে আপনি ঘুরতে যেতে পারেন তাহলে সময় এবং টাকা কোনটাই নষ্ট হবে না।
* সান্দাকফু (Sandakphu) : নেপাল এবং ভারতের বর্ডারে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে উঁচু পার্বত্য অঞ্চল বলা যায় সান্দাকফুকে। যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাঁরা শীতকালে পশ্চিমবঙ্গের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি ট্রেকিং করার উদ্দেশ্যে যান। এখানেই রয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান। ওই উদ্যানের মধ্যেই ট্রেকিং রুটের চারটি পর্যায়ে পড়ে । প্রথমটি হল মানেভঞ্জন থেকে মেঘমা। তারপর মেঘনা থেকে গৈরিবাস এবং টুংলু টুমলিং। তৃতীয় ট্রেকিং রুট হল গৈরিবাস থেকে সান্দাকফু। আর তারপর একেবারে শেষ হল সান্দাকফু থেকে ফালুট । এই রুট ধরে যাবার সময় প্রায় ২১ কিলোমিটার পথ সবটাই আপনার সঙ্গে থাকবে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও এভারেস্ট।
* রিম্বিক (Rimbick) : দার্জিলিং জেলায় এমন বহু পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে যেগুলি এখনও পর্যন্ত লোকমুখে প্রচারিত হয়নি। কিন্তু সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দার্জিলিং শহরের চাইতে অনেকটাই বেশি। যদিও দুটোর তুলনা করা যায় না কিন্তু তারপরেও গ্রাম্য পাহাড়ি প্রকৃতি যদি দেখতে ভালোবাসেন এই বছরের ক্রিসমাসের ছুটিতে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন রিম্বিকে। একেবারে নিরিবিলি একটা ছোট্ট পাহাড়ের গায়ে থাকা গ্রাম। সেখানে তুষারপাতের পর রাস্তাঘাট গুলিও সাদা বরফে ঢেকে যায়। কাছের মানুষদের সঙ্গে কিংবা একাকী এই সুন্দর গ্রামটি ঘুরে দেখলে তাকে ছবির থেকে কোন অংশে কম বলে মনে হবে না । আর পর্যটকদের জন্য আরও ভালো খবর হল, এই গ্রামগুলি দার্জিলিং শহর থেকে অনেক বেশি পকেটে ফ্রেন্ডলি।
* রিশপ (Rishop) : ডিসেম্বরের শীতে কালিম্পং সাব ডিভিশনের একটা ছোট্ট গ্রামে ঘুরতে যেতে চাইবেন ? গ্রাম শুনে মন খারাপ করবেন না। কারণ এই জায়গাটিতে একবার পা রাখলে আপনার মন মুগ্ধ হতে বাধ্য। ছোট্ট একটা গ্রাম যেখানে ডিসেম্বরের তুষারপাত ছোট ছোট বাড়িগুলিকে পুরো সাদা করে দেয়। আর তারপর গাছপালার উপরিভাগগুলিও ঠিক সাদা টুপি পড়ার মতো দেখতে লাগে। লাভা লোলেগাঁও থেকে রিশপ যেতে হলে আপনাকে ওই ৫ কিলোমিটার মতো ট্রেক করতে হবে।
* লাভা-লোলেগাঁও (Lava-Lolegaon) : শীতকালে যদি আপনি তুষারপাত উপভোগ করতে চান তাহলে একবার ঘুরে আসতে পারেন লাভা ও লোলেগাঁও । রাজ্যের বাইরে যেতে হবে না কারণ উত্তরবঙ্গেই রয়েছে ছোট্ট এই গ্রামটি। আপনি চাইলে দার্জিলিং থেকে সরাসরি সেখানে যেতে পারবেন। বরফ পড়লে সেখানকার রাস্তা একেবারেই সাদা হয়ে যায়। আর তার সঙ্গে দূর থেকে হালকা পাহাড়ের চূড়া দেখা যায়। তবে এখানে বরফ পড়ুক আর না পড়ুক সবসময়ই রহস্যময় একটা কুয়াশা আপনাকে ঘিরে থাকবে । যা আপনার লাভা লোলেগাঁও ভ্রমণকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতে সাহায্য করবে।
* দার্জিলিং (Darjeeling) : এইসবের মধ্যে দার্জিলিংকে ভুললে চলে? কম খরচে শীতকালে সবথেকে কাছাকাছি যাওয়ার জন্য একেবারে পারফেক্ট হল দার্জিলিং এখানে প্রত্যেক বছরই নিউইয়র্ক আর বড়দিনে ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে। দার্জিলিংয়ে গিয়ে ম্যালে ঘুরুন, টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখুন। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখুন, আশেপাশের ছোটখাটো গ্রামগুলিতে একবার করে ঘুরে আসুন। আর তার সঙ্গে চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে কিন্তু ভুলবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম