।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia Ukraine War) কোনভাবেই ভারত রাশিয়ার সম্পর্কে প্রভাব ফেলেনি। যুদ্ধের মাঝে রাশিয়া বিপুল ছাড়ে ভারতকে তেল দিচ্ছে। ২০২২ এর ডিসেম্বরে রাশিয়ার শীর্ষ তেলের ক্রেতা ভারত। রাশিয়ার যুদ্ধ পশ্চিমা বহু দেশ মেনে নিতে পারিনি। একের পর এক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে নানান ব্যবসা বন্ধ করেছে। রাশিয়া নিজের পিঠ বাঁচাতে বুদ্ধি করে একের পর এক সমস্যা কাটিয়ে চলেছে। গোটা ইউরোপ এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার উপর নির্ভরশীলতা কাটাতে পারছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ব্যবসার সমুদ্রপথে সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও রাশিয়ার সেভাবে কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইকনোমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, জি সেভেন ভুক্ত দেশ অর্থাৎ ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন, আমেরিকা, আর জার্মানি রাশিয়া থেকে কেনা তেল ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার নির্ধারণ করেছে। রাশিয়া বাজার মূল্যের থেকেও অনেক কমে চীন আর ভারতের কাছে তেল বিক্রি করছে। আগে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে যে দামে তেল কিনত এখন তার থেকে অনেক কম দরে তেল পাচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ায় রাশিয়ার অর্থনীতি কিছুটা হলেও টালমাটাল। এই অবস্থায় দেশকে চাঙ্গা রাখতে তেল বিক্রি করতেই হবে। ক্রেতা ধরে রাখতে রাশিয়ায় এশীয় দেশগুলির কাছে আকর্ষণীয় নানান বিকল্প তুলে ধরেছে, যার সুবিধা পাচ্ছে ভারত।
পশ্চিমা দেশ গুলি শত চেষ্টা করেও মস্কোর তেল ব্যবসা রুখতে পারেনি। একের পর এক ফেল হয়ে গিয়েছে দুর্দান্ত কৌশল। স্বাভাবিক ভাবেই রাশিয়া ইউরোপীয় দেশগুলি ছেড়ে এশীয় দেশগুলির দিকে বেশি ঝুঁকছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিসেম্বর মাসে ভারত রাশিয়ার তেল রপ্তানি বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি দখল করতে পারে। ভারত রাশিয়া থেকে কমপক্ষে দুই মিলিয়ন টন উড়াল গ্রেডের তেল পেয়েছে। এর পরিমাণ আরো বাড়বে। অপরদিকে তুরস্ক একেবারেই পিছিয়ে নেই। রাশিয়া থেকে যথেষ্ট পরিমাণে তেল কিনছে। সময় যত গড়াবে প্রতিমাসে রাশিয়ার তেল রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে। শুধুমাত্র নভেম্বর মাসে রাশিয়ার উড়ালগ্রেডের মোট ট্যাংকার চালানের প্রায় ৫৩ শতাংশ এসেছে ভারতে। অপরদিকে ডিসেম্বর মাসে বুলগেরিয়া উড়াল গ্রেডের তেলের দ্বিতীয় বড় ক্রেতা। দেশটি ডিসেম্বরে রাশিয়া থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টন তেল আমদানি করেছে।
আপাতত রাশিয়া এশিয়ার মত বিকল্প বাজারে নিজের খুঁটি শক্ত রাখতে ব্যস্ত। ক্রেতা ধরে রাখতে বিপুল ছাড় দেওয়া ছাড়া রাশিয়ার কাছে আর উপায় নেই। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাশিয়াকে তেল বিক্রি করতেই হবে। এতদিন ভারতে অপরিশোধিত তেল রপ্তানিতে প্রথম স্থান ছিল ইরাক, কিন্তু গত মাসে সেই স্থান কেড়ে নিয়েছে রাশিয়া। প্রায় ১০ মাস ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কোন চূড়ান্ত ফলাফল এখনো প্রকাশ পায়নি। রাশিয়া এই যুদ্ধ এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে চেয়েছিল, সেই রাশিয়া ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ দমাতে পারেনি। পুতিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন যে হয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে জিতবে, নয়তো পুরো বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেই রাশিয়া আবারো পূর্ণ শক্তি নিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম