।। প্রথম কলকাতা ।।
রবিবাসরীয় বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। জমজমাট এই ফাইনালে যার দিকে সবার নজর থাকবে তিনি আর কেউ নন আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে একার কাঁধে তুলে এনেছেন ফাইনালে। বার্সেলোনা থেকে প্যারিস বাঁ পায়ের কেরামতিতে রাঙিয়ে দিয়েছেন। আর প্রাণ ভরে তা উপভোগ করছে ফুটবল প্রেমীরা। বিশ্বকাপও তার অন্যথা হয়নি। মেসির পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছে বিশ্ব ফুটবল। নিজের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে যেভাবে তিনি আলো ছড়াচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ফুটবলের এই জাদুকর জাদুকরী পারফরম্যান্সে মাতিয়ে তুলেছেন বিশ্ব ফুটবলকে। ফাইনালে স্বপ্নপূরণের হাতছানির পাশাপাশি একাধিক রেকর্ডের সামনে লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে খেলোয়াড় হিসেবে সর্বাধিক ম্যাচ জয়: লিওনেল মেসি ফিফা বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টে ১৬টি ম্যাচ জিতেছেন। যদি আর্জেন্টিনা ফাইনাল ম্যাচ জিততে পারে তবে এটি হবে তারকা স্ট্রাইকারের ১৭তম জয় যা তাকে বিশ্বকাপের মঞ্চে যৌথভাবে সর্বাধিক বিজয়ী করে তুলবে৷ বর্তমানে, জার্মানি কিংবদন্তি মিরোস্লাভ ক্লোজে তার ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপে ১৭টি জয়ের সঙ্গে রেকর্ডটি ধরে রেখেছেন।
বিশ্বকাপে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা: রবিবাসরীয় ফাইনালে মেসি মাঠে নামলেই জার্মানির লোথার ম্যাথাউজকে (২৫টি উপস্থিতি) ছাড়িয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়বেন।
সর্বাধিক অ্যাসিস্ট: লিওনেল মেসি এখনও পর্যন্ত ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচে মোট নয়টি অ্যাসিস্ট করেছেন। বর্তমানে, ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে দশটি অ্যাসিস্ট করে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। ফাইনালে যদি মেসি তাঁর সতীর্থদের অন্তত দুটি গোল করতে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে রেকর্ডটি নিজের দখলে করে নেবেন।
সর্বাধিক গোল্ডেন বল জয় : ২০১৪ রাশিয়া বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন। বিশ্বকাপের একটি সংস্করণে সেরা অলরাউন্ড খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল দেওয়া হয়। এবারও সম্মান পাওয়ার অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। যদি তিনি এই কাঙ্খিত পুরস্কার জিততে সক্ষম হন তবে তিনি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি ‘গোল্ডেন বল’ জিতে নেবেন।
গোল্ডেন বুট জয় : গোল্ডেন বল ছাড়াও, গোল্ডেন বুট নামে আরেকটি পুরস্কার রয়েছে যা বিশ্বকাপের একটি সংস্করণে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে দেওয়া হয়। লিওনিদাস দা সিলভা (১৯৩৮), গ্যারিঞ্চা (১৯৬২), রোনালদো (১৯৯৮ গোল্ডেন বল, ২০০২ গোল্ডেন বুট), পাওলো রসি (১৯৮২), সালভাতোরে শিলাচি (১৯৯০) এবং আর্জেন্টিনার প্রাক্তন তারকা মারিও কেম্পেস (১৯৭৮) এই সাতজন খেলোয়াড় গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বল উভয় পুরস্কার পেয়েছেন। চলতি বিশ্বকাপে মেসি এবং এমবাপ্পে পাঁচটি গোল করে শীর্ষস্থানীয় গোলদাতা হিসেবে রয়েছেন। যদি একটি গোল বেশি করেন তবে এমবাপ্পেকে ছাড়িয়ে গোল্ডেন বুটও জিততে পারেন মেসি।
সর্বাধিক গোল অবদান: বিশ্বকাপের মঞ্চে ১১টি গোল এবং নয়টি অ্যাসিস্ট সহ মেসির ২০টি গোল রয়েছে। ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলের ২২টি গোলের রেকর্ড রয়েছে যার মধ্যে ১২টি গোল এবং ১০টি অ্যাসিস্ট। ফাইনালে মেসির কাছে পেলের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বা সমান করার সুবর্ণ সুযোগ থাকছে।