।। প্রথম কলকাতা ।।
ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে শেষ হলো মরক্কোর স্বপ্নের যাত্রা। চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হার্নান্দেজ ও কোলো মুয়ানির গোলে ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। সেই সঙ্গে ২০০২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফরাসিরা। প্রথমে গোল খাওয়ার পর জ্বলে ওঠে মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে ফ্রান্স রক্ষণে ভীতি ছড়ায় আফ্রিকার দেশটি। ফিনিশিংয়ের অভাবে ভালো সুযোগ পেয়েও মিস করল মরক্কো। যার ফলস্বরূপ থেমে গেল তাদের স্বপ্নের জয়রথ।
আল বাইত স্টেডিয়ামে মরক্কোর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে ফ্রান্স। গোল পেতেও বেশি দেরি হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন থিও হার্নান্দেজ। ভারানের ক্রস ধরে মরক্কো রক্ষণে ঢুকে পড়েন গ্রিজমান। পাস দেন এমবাপেকে। ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি পিএসজি ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল পেয়ে যান হার্নান্দেজ। সেখান থেকে গোল করতে কোন ভুল করেননি এসি মিলানের এই ডিফেন্ডার। এরপরই বেশ কয়েকটি সুযোগ গড়ে তোলে ফ্রান্স। ১৭ মিনিটে জিরুদের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার বড় সুযোগ পায় ফ্রান্স। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন জিরুদ। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও ভেঙে পড়েনি বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি করা মরক্কো। বিরতির আগের কয়েক মিনিট ফরাসি রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে আফ্রিকার দেশটি। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মরক্কো।
বিস্তারিত আসছে ..দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মরক্কো। একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তুলে ফ্রান্স রক্ষণকে ছন্নছাড়া করে দেয় আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়াশরা। তবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ফিনিশিংয়ের অভাবে বেশ কয়েকটি সুবর্ণ সুযোগ মিস করে মরক্কো। আর তারই খেসারত দিতে হল তাদের। পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়িয়ে দিলেন উসমান দেম্বেলের পরিবর্তে মাঠে নামা কোলো মুয়ানি। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে দুর্দান্তভাবে মরক্কো রক্ষণে ঢুকে পড়েন কিলিয়ান এমবাপে। এমবাপের শট মরক্কোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মুয়ানির কাছে। দেশের জার্সিতে প্রথম গোলটি করতে কোন ভুল করেননি মুয়ানি। আর এখানেই শেষ হয়ে যায় মরক্কোর স্বপ্নের জয়রথ। এরপরেই গোল শোধ করতে মরিয়া মরক্কো আক্রমণ শানাতে থাকে ফরাসি রক্ষণে। সুযোগ তৈরি করেও ফ্রান্সের ডেডলক ভাঙতে পারল না আফ্রিকার দেশটি।