।। প্রথম কলকাতা ।।
বুধবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি বিশ্বকাপের ইতিহাস সৃষ্টিকারী মরক্কো। ইতিমধ্যেই ফাইনালের টিকিট আদায় করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা মঙ্গলবার ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ৩৬ অপেক্ষা ঘোঁচানোর জন্য প্রস্তুত। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স জানে সারপ্রাইজ প্যাকেজ মরক্কোর বিরুদ্ধে জয় সহজ হবে না। তবুও বিশ্বকাপ ট্রফি রক্ষা করা থেকে দুই কদম দূরে রয়েছে ফ্রান্স।
মরক্কো চলতি বিশ্বকাপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। গ্রুপ পর্বে বেলজিয়াম ও কানাডাকে হারিয়ে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় পা রেখেছিল আফ্রিকার দেশটি। শেষ ষোলোয় টাইব্রেকারে স্পেন করে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট আদায় করে মরক্কো। সেখানেও বাজিমাত। রোনাল্ডোর পর্তুগালকে হারিয়ে আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় হাকিমি-জিয়াশরা। এই মরক্কোর যে হুল ফোটাতে পারে ফ্রান্সের রক্ষণে তা ভালো মতোই জানেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশচ্যাম্প।
ফ্রান্সের অধিনায়ক হুগো লরিস এমন একটি দলের বিরুদ্ধে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয়। লরিস বলেন, যখন একটি দল বেলজিয়াম, স্পেন এবং পর্তুগালকে পরাজিত করতে সক্ষম হয় এবং গ্রুপের শীর্ষে থেকে নক-আউটে যায়, তার কারণ তাদের মাঠে অনেক গুণ রয়েছে এবং নিঃসন্দেহে এটির বাইরেও, সংহতি এবং দলের মনোভাবের দিক রয়েছে। তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হবে।”
অন্যদিকে মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগির জন্ম ফ্রান্সে। খেলাধুলা থেকে বেড়ে ওঠা সবটাই তিনি কাটিয়েছেন ফ্রান্সে। কাতারে একের পর এক বিস্ময় আর অঘটনের জন্ম দেওয়া মরক্কো দলটিতে রয়েছে সব প্রবাসী খেলোয়াড়। ৪৭ বছর বয়সী রেগরাগি মরক্কো কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান গত অগাস্টে, বিশ্বকাপ শুরুর তিন মাসেরও কম সময় আগে। দায়িত্ব নেওয়ার পরই দলটির আমূল পরিবর্তন করেন। আগের কোচের সঙ্গে ঝামেলায় বিদায় নেওয়া হাকিম জিয়াশকে ফিরিয়ে আনেন জাতীয় দলে। তাঁর জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় রেগরাগিকে। তবে সব কিছুকে উপেক্ষা করে তিনি যা করে দেখিয়েছেন তা এক কথায় অসম্ভব!