।। প্রথম কলকাতা ।।
Business Idea For Students: স্বাবলম্বী হওয়ার কোন বয়স থাকে না। আর্থিকভাবে নিজের উপর নিজে নির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা উচিত আগে থেকেই। ছাত্র জীবন শেষ করে পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার পর চাকরির খোঁজ এবং তারপর অর্থ উপার্জন করে নিজের শখ-ইচ্ছে পূরণ করার জন্য একটা বড় সময় দরকার। তাই আজকের দিনে কলেজের পড়ুয়ার আর্থিকভাবে স্বাধীন হতে চান। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁরা জীবনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যান। কেউ হয়তো মা-বাবার উপর বোঝা হতে চান না, আবার কেউ কেউ তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি আয় করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। এগুলি ফুলটাইম হিসেবে করার কোন প্রয়োজন নেই। পার্টটাইম হিসেবে কাজ করলেই যথেষ্ট উপার্জন করা যায় ছাত্র জীবন অতিবাহিত করার জন্য। আজকের এই প্রতিবেদনে কলেজ পড়ুয়াদের কাজে আসবে এমন সেরা কিছু পার্ট টাইম জবের বিস্তারিত বর্ণনা রইল।
* কনটেন্ট রাইটার : এটি এমন এক ধরনের জব যেখানে শুধুমাত্র লেখার দক্ষতা থাকলেই টাকা রোজগার করা যায়। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটারের বাজার চাহিদা রয়েছে প্রচুর। ফ্রিল্যান্সিং সাইড রয়েছে যেখানে কনটেন্ট লেখার কাজ পেতে পারেন আপনি। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে এমন কিন্তু নয়। যেকোনো ভাষায় আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে উপার্জন করা যায়। আর এই কাজটি করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন সময় নেই। যার কারণে কলেজের পড়ুয়ারা সহজেই এটা করতে পারেন।
* অনলাইন/ অফলাইন শিক্ষকতা: এই কাজটির সাথে ভারতের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী খুব ভালোভাবে পরিচিত। কারণ এই কাজটি বছরের পর বছর ধরে করে আসছেন বহু ছাত্র-ছাত্রীরা। নিজে পড়াশোনার সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি অন্যকে জ্ঞান বিতরণ করা। বাড়িতে গিয়ে কোন ছাত্রকে পড়ানো অথবা নিজের বাড়িতে কোচিং সেন্টার তৈরি করে নেন বহু কলেজ পড়ুয়ারাই। বর্তমানে অনলাইনেও সেটি সম্ভব। এমন বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে স্কুল পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। আর সেই সকল পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য এইরকম পেশাদার শিক্ষকদের বদলে তরুণ শিক্ষার্থীদের চাহিদা রয়েছে।
* স্টক ফটোগ্রাফি : আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালবাসেন তবে নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে টাকা রোজগার করতেই পারেন। এক্ষেত্রে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফটোগ্রাফারদের ছবি রাইট সহ টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হয়। আর এক একটি ছবির মান এবং অনন্যতার উপর নির্ভর করে তার মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কাজেই এটাও একটা ভালো রোজগারের পথ হতে পারে।
* ডেটা এন্ট্রি : ডেটা এন্ট্রি হল এমন একটি কাজ যা সহজেই অনলাইনে করা যায়। আপনাকে শুধু কোন কোম্পানি বা সংস্থার দেওয়ার ডেটা কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখতে হবে। পার্ট টাইম কাজ হিসেবে কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটা খুব উপকারী একটি কাজ।
* গ্রাফিক ডিজাইনার : অনেক ছাত্র-ছাত্রী এমন রয়েছেন যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট। তাঁরা হয়তো নিজেদের শখের বসে শিখেও থাকেন । আর এখন ইন্টারনেট এমন একটি শক্তিশালী মাধ্যম যার সাহায্যে যে কোন অজানা জিনিস জানা যায়। ভালো গ্রাফিক ডিজাইনের বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আর ভালো ডিজাইন তৈরি করার জন্য আপনি পেতে পারেন প্রচুর পরিমাণে অর্থ । যদিও এই কাজটির জন্য প্রয়োজন একটি ভালো মানের ডেস্কটপঅথবা ল্যাপটপ সহ গ্রাফিক ডিজাইনিং সফটওয়্যার এবং নিজের দক্ষতা।
* সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার : এমন বহু কোম্পানির রয়েছে যারা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য কর্মী নিয়োগ করে থাকে। এক্ষেত্রে কলেজ শিক্ষার্থীরা এই কাজটি চাইলে পার্টটাইম চাকরি হিসেবে করতে পারেন। কারণ এই জেনারেশনের ছেলে মেয়েদের জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার হ্যান্ডেল করা এমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। এতে বেতনও মেলে যথেষ্ট।
উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি কাজই ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের পড়াশোনাতেও কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তাই নিজেকে অন্যের উপর নির্ভরশীল না রেখে অল্প অল্প করে স্বাবলম্বী করে তোলার পথে যে কোন একটি কাজ বেছে নিতে পারেন কলেজ পড়ুয়ারা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম