।। প্রথম কলকাতা ।।
Aarti: হিন্দু ধর্মে আরতির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। নানান নিয়মে ঘেরা শাস্ত্রীয় পুজোর বিধানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে আরতি। যদিও আরতি করা একেবারেই সহজ জিনিস। যিনি শাস্ত্রীয় পুজোর বিধি কিংবা মন্ত্র জানেন না, তিনিও আরতি করতে পারেন। ভগবানের সামনে ভক্তি সহকারে আরতি করার অর্থ ভগবানের উদ্দেশ্যে ভালোবাসা, অনুরাগ, প্রীতি নিবেদন করা। পুজোর যতই নিয়ম থাকুক না কেন পুজোর শেষে আরতি অবশ্যই করা হয়। আরতি করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গল অমঙ্গলে নানান ধারণা।
•হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী তুলসী গাছ ছাড়া আরতি অসম্পূর্ণ। প্রতিদিন সন্ধ্যায় অবশ্যই তুলসি গাছের কাছে সন্ধ্যের সময় প্রদীপ জ্বালাবেন। মনে করা হয়, এর ফলে সংসারের সুখ সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
•ভুলেও কখনো বাম হাত দিয়ে আরতি করবেন না। আরতি চলাকালীন কখনোই সেখান থেকে ওম নেবেন না। আরতি শেষ হলে তবেই আপনি এই কাজটি করতে পারেন।
•আরতি করতে হবে ভক্তি সহকারে, শুদ্ধ মনে এবং পরিষ্কার বসনে। বসে বসে আরতি করবেন না। আরতি করতে হবে দাঁড়িয়ে। দেব-দেবীদের পুজোর নিয়ম ভেদে আরতির নিয়ম আলাদা। আরতির থালায় কি কি রাখতে হবে সেক্ষেত্রে নিয়ম মানা উচিত। সব দেবদেবীর আরতির থালায় একই রঙের ফুল থাকে না। এই নিয়মগুলি জানা দরকার।
•আরতি করার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ির সকলকে অর্পণ করবেন না। তার আগের থালাটি পদ্মের জলে দুবার ঘুরিয়ে নেবেন।
• আরতির থালায় একটি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নেবেন। এছাড়াও ঘি এবং কর্পূর দেওয়া একটি প্রদীপ আরতি থালায় অবশ্যই রাখবেন।
•সংসারের মঙ্গল কামনায় আরতির পর শাঁকের মধ্যে একটু জল দিয়ে সেই শাঁখ বিগ্রহের চারিদিকে ঘুরিয়ে সেই জল বাড়ির সদস্যদের উপর ছিটিয়ে দিতে পারেন।
পুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আরতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন কিছু বিশ্বাস যা জানলে আপনি অবাক হবেন। ঈশ্বরের সামনে তাঁর প্রতি ভক্তিতে বিগলিত হয়ে মানুষ আরতি করে থাকেন। প্রদীপের আলোয় ঈশ্বরের আশির্বাদ উদ্ভাসিত হয়। মনে করা হয়, আরতির ধোঁয়ায় জীবাণু এবং অশুভ শক্তি নাশের ক্ষমতা রয়েছে। আরতি করার পর কোন ভক্ত যদি ঈশ্বরের চোখের দিকে তাকান তখন ওই ভক্তের মনের অশুদ্ধি দূর হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম