।। প্রথম কলকাতা ।।
Expensive Pineapple: আনারস বহু দেশের মানুষের কাছেই পরিচিত ফল। কিন্তু একটি আনারস চাষ করতে যদি খরচ হয় এক লক্ষ টাকা তবে তা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া স্বাভাবিক। শুনে খানিকটা অবাক হলেও এই তথ্য একেবারে সত্যি। একটি গাছে একটি মাত্র আনারস যা চাষ করতে খরচ করা হয় প্রায় এক লক্ষ টাকা। এটা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে এমন আনারস কোথায় চাষ করা হয় ? উত্তরে নাম উঠে আসে ইংল্যান্ডের। জানা গিয়েছে ইংল্যান্ডের হেলিগানের লস্ট গার্ডেনে এই আনারস চাষ করার জন্য এক লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। আর এই আনারসের নাম হেলিগান আনারস।
কেন আনারস চাষ করতে এত টাকা খরচ করা হয় ? প্রথমত আনারস চাষ করার জন্য একেবারেই উপযুক্ত জলবায়ু নয় ইংল্যান্ডের। সেখানে আনারস চাষ করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে। আর যেই আনারসের কথা বলা হচ্ছে সেটি চাষ করার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয়। খরচ হয় সেই খাতেই। যেমন ধরুন এই হেলিগান আনারস চাষ করতে গেলে একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনের কাঠের পিট আকৃতির পাত্র তৈরি করা হয়। ওই পাত্রের একটি গাছে একটি মাত্র আনারস উৎপন্ন হবে।
এই ফল চাষ করার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন ঘোড়ার সার। কারণ এই সারের কিছু বৈশিষ্ট্য এমন রয়েছে যা সাধারণ জৈবসারে পাওয়া যায় না। কৃষি জাগরণ বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হেলিগান আনারস সাধারণত বিক্রি করার জন্য চাষ করা হয় না। এটি খুব গণ্যমান্য কোন ব্যক্তিকে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য চাষ করা হয়। প্রথমবার ১৮১৯ সালে ব্রিটেনে এই আনারসটি আনা হয়েছিল। আর তারপর ১৯৯১ সালে প্রথম এই আনারস চাষ শুরু করা হয়।
হেলিগানের লস্ট গার্ডেনে যে দ্বিতীয় হেলিগান আনারসটি উৎপাদন করা হয়েছিল সেটি রানি এলিজাবেথকে উপহারস্বরূপ দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রিন্স চার্লস ১৯৯৭ সালের শুধুমাত্র আনারসটিকে দেখার জন্য লস্ট গার্ডেন পরিদর্শনে এসেছিলেন। এই আনারস স্বাদে ভালো না খারাপ শুধুমাত্র এটা পরীক্ষা করার জন্য হেলিগানের বাগানে উৎপন্ন আনারসটিকে খেয়েছিলেন কর্মকর্তারা। কাজেই এক্ষেত্রে কোনরকম সন্দেহ নেই যে এই আনারস একেবারেই শৌখিন প্রজাতির ফল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম