।। প্রথম কলকাতা ।।
Beauty Products Fragrances : রূপচর্চার প্রত্যেকটি পণ্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়। কোন ক্রিম বেশ ঘন থকথকে হয় আবার কোন ক্রিম হয় জেল আকারের। কিছু কিছু পণ্যে খুব সুন্দর গন্ধ পাওয়া যায়। আবার কোন কোন পণ্য একেবারেই হয় গন্ধবিহীন। তবে মহিলাদের বেশিরভাগ ক্রিম, বডি লোশন, শ্যাম্পু, শাওয়ার জেল, ফেসওয়াস, লিপস্টিক এছাড়া অন্যান্য রূপচর্চার সামগ্রী সুগন্ধি হয়। অনেকেই মনে করেন সুগন্ধযুক্ত প্রসাধনী মানেই সেটা ত্বকের ক্ষতি করছে। আবার অনেকের ধারণা প্রসাধনীতে সুগন্ধ থাকলেই সেটা ত্বকের ক্ষতি করবে এমন কোন যুক্তি নেই। আসল সত্যিটা জানতে চান?
চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রসাধনী পণ্যের গন্ধ আদৌ ত্বকের ক্ষতি করে নাকি এটা ভ্রান্ত ধারণা। প্রত্যেকটি প্রসাধনী পণ্যে গন্ধ দু’রকমের হয়ে থাকে। একটা হয় প্রাকৃতিক গন্ধ আর অপরটি হয় সিন্থেটিক গন্ধ। প্রাকৃতিক গন্ধে কোনরকম সাইডএফেক্ট নেই। কারণ এইগুলি তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে। যেমন ধরুন এসেনশিয়াল ওয়েল। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাভেন্ডার অয়েল, গোলাপ জল, চা গাছের তেল প্রভৃতি। প্রসাধনীর মধ্যে এই ধরনের অয়েলগুলি থাকলে প্রাকৃতিকভাবে একটা সুন্দর সফট সুগন্ধ পাওয়া যায়। সবসময় মনে রাখবেন এই সুগন্ধগুলি কিন্তু খুব একটা জোরালো হয় না।
আর এক ধরনের সুগন্ধ হল সিন্থেটিক। এই সুগন্ধি গুলি আলাদাভাবে তৈরি করা হয়। যে সকল ক্রিম এবং মশ্চারাইজারের কোনরকম গন্ধ থাকে না সেখানে এইগুলির ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টরা বলছেন, সুগন্ধি প্রসাধনী যদি দিনের পর দিন একটানা ব্যবহার করে যাওয়া হয় তবে আপনার ত্বকের দফারফা হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। এই ধরনের সিন্থেটিক সুগন্ধযুক্ত প্রসাধনী পণ্যগুলি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ত্বকে লালচে ভাব , জ্বালা প্রভৃতি অনুভূত হতে পারে শুধুমাত্র প্রসাধনীর জন্য।
কারণ এই সিন্থেটিক সুগন্ধ গুলি তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ। যা আমাদের ত্বকের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বরং এই ধরনের সিন্থেটিক সুগন্ধি পণ্য যদি আপনি লাগাতার ব্যবহার করতে থাকেন তবে আপনার শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়তে থাকবে। এবার কীভাবে বুঝবেন কোন প্রসাধনীর মধ্যে সিন্থেটিক গন্ধ রয়েছে আর কোন প্রসাধনের মধ্যে প্রাকৃতিক গন্ধ রয়েছে ? সাধারণত যে সকল প্রসাধনীর গন্ধ খুব তীব্র হয় না সেগুলিতেই প্রাকৃতিক সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বডি লোশন, ক্রিম, লিপস্টিক, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার সবেতেই কিন্তু ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তাই যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
এইসবের ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে সব থেকে সোজা পথ হল গন্ধহীন প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার। এতে ত্বকে কোনরকম সাইডএফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনাই থাকে না। এই ধরনের প্রসাধনী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। যদি সেটি আপনার ত্বকে সঠিক মত কাজ নাও করে তবুও অন্ততপক্ষে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। আর ত্বকে অ্যালার্জি, প্রদাহ প্রভৃতি এড়িয়ে চলার জন্য সুগন্ধহীন প্রসাধনী উপযুক্ত বিকল্প।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম