।। প্রথম কলকাতা ।।
About Temple: অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মন্দিরে ভগবান দর্শন করতে গিয়ে পুণ্যার্থীরা মন্দিরের পরিক্রমা করেন। অন্যান্য ধর্মেও এই রীতির প্রচলন রয়েছে। কিন্তু কেন মন্দিরে গিয়ে মূল ভবনের চারপাশে এইভাবে প্রদক্ষিণ করা হয়? কতবারই বা প্রদক্ষিণ করা উচিত? এ সংক্রান্ত প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বলা হয় এই প্রদক্ষিণা ভগবানের উপাসনার আরও একটি মাধ্যম। তাই শুধুমাত্র মূল মূর্তির সামনে প্রার্থনা করাই নয়, হাতে ধূপ কিংবা দীপ অথবা ফুল নিয়ে মন্দিরের মূলভবনের চারপাশে ঘুরে আসাকেও পুজো হিসেবেই ধরা হয়।
তবে হিন্দু ধর্মে যেহেতু প্রকৃতিকে ঈশ্বরের সমান মর্যাদা দেওয়া হয় তাই মন্দিরের পাশাপাশি কোন পবিত্র গাছ, আগুন, এমনকি পবিত্র নদী প্রদক্ষিণ করার রীতিও প্রচলিত রয়েছে। তবে মন্দির প্রদক্ষিণার কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেমন ধরুন ঘড়ির কাঁটা যেমন ডান দিক থেকে বাঁ দিকে যায় ঠিক তেমন ভাবেই প্রদক্ষিণ করতে হবে। হিন্দু শাস্ত্রমতে মন্দিরের চারপাশে যদি বৃত্তাকারে হাঁটা হয় তবে সেখানে প্রবাহিত শক্তি গুলি যেকোনো ভক্ত অর্জন করতে পারবে। যেহেতু মন্দিরকে অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসেবে ধরা হয়, তাই মনে করা হয় ওই মূর্তির আশেপাশেও ইতিবাচক শক্তির বসবাস রয়েছে। শুধু তাই নয়, ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, যেকোনো পবিত্র স্থান যেখানে পুজো করা হয় সেই স্থান প্রদক্ষিণ করলে ওই ব্যক্তি ১০ টি অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্য লাভ করতে পারেন।
কোন দেবতাকে কতবার প্রদক্ষিণ করা উচিত :
* যে কোন দুর্গা দেবীর মন্দিরে গেলে একবার প্রদক্ষিণ যথেষ্ট ।
* গণেশের মন্দিরে তিনবার প্রদক্ষিণ করতে হয় ভক্তদের।
* সূর্য দেবতার মন্দিরে প্রদক্ষিণ করতে হয় সাতবার। *ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরে প্রদক্ষিণ করতে হয় চারবার । আর প্রদক্ষিণের সময় অবশ্যই সহস্র নাম জপ করা অত্যন্ত আবশ্যিক বলে মনে করা হয়।
* এছাড়াও ভগবান শিবের মূর্তি অথবা মন্দির সম্পূর্ণ প্রদক্ষিন করতে নেই। শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, ভগবান শিবের সোম সূত্র অর্থাৎ তাকে নিবেদন করা স্রোত যেখান থেকে প্রবাহিত হয় তা অতিক্রম করা উচিত নয়। তাই যে কোন শিব মন্দিরের অর্ধেক প্রদক্ষিণ প্রচলিত রয়েছে।
*অন্যদিকে গোবর্ধন পর্বতের পরিক্রমাও বেশ শুভ বলে মনে করা হয় হিন্দু ধর্মে ।
* অন্যান্য দেবতাদের মন্দির অথবা মূর্তিকে তিনবার প্রদক্ষিণ করতে হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম