।। প্রথম কলকাতা ।।
Ready To Eat Food: প্রতিদিনের দৌড়ঝাপ, অফিসের কাজে শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসৎ টুকু নেই। কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতেই হয়ে যাচ্ছে বেশ খানিকটা দেরি। তারপর নিজের জন্য খাবার তৈরি করার সময় এবং ইচ্ছে কোনটাই থাকছে না হাতে। তাই একপ্রকার নিজের মুশকিল আসান করতে ফ্রিজে স্টোর করে রাখছেন রেডি টু ইট খাবার। পিৎজা থেকে পরোটা সবকিছুই তৈরি রয়েছে। শুধুমাত্র গরম করে নিলেই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন কি? আধঘন্টা থেকে এক ঘন্টা সময় বাঁচাতে গিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে যত ঝুঁকছেন ততই শরীরে বাসা বাঁধছে নানান ধরনের রোগ।
এই প্রসেসড ফুড অবশ্যই সময় বাঁচায়। তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু একই সঙ্গে ডেকে নিয়ে আসে ওবেসিটি, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগ যা আপনাকে শারীরিক এবং মানসিক দুই দিক থেকেই একেবারে ভেঙেচুরে রেখে দিতে পারে। অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে রেডি টু ইট খাবার কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক ? ওই খাবারগুলই যখন আমরা বাড়িতে তৈরি করছি সেটা তো স্বাস্থ্যকর , তবে ফ্রিজে স্টোর করে রাখলে কেন সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে যাচ্ছে ? বিস্তারিত আলোচনা রইল এই প্রতিবেদনে।
রেডি টু ইট খাবার বলতে পিৎজা, সবজি , পরোটা, পাস্তা, বিভিন্ন চিপস, বেকন, সসেজ প্রভৃতি। এইগুলিকে দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে নুন এবং চিনি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যাতে খাবারগুলি বহুদিন পর্যন্ত ফ্রিজে একেবারে ঠিকঠাক থাকে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে দেওয়া হয়। যা অন্ততপক্ষে কোন মানুষের শরীরের জন্য একেবারেই ভালো প্রভাব ফেলে না।
* প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে যে ক্ষতিগুলি হতে পারে
১. ওজন বৃদ্ধি : বেশি পরিমাণে খাবার সারাদিনে খাচ্ছেন না কিন্তু তারপরেও বেড়ে যাচ্ছে ওজন । কারণ কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না। অথচ আসল কারণ রয়েছে আপনার ফ্রিজে। সেখানেই তো জমিয়ে রেখেছেন প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাবার । যা আপনার শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। রোজকার খাদ্য তালিকায় যদি প্রসেসড খাবার থাকে তবে ওজন বৃদ্ধি কমানো খুবই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
২. পেটের সমস্যা : এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খেতে থাকেন তবে আপনার হজম প্রক্রিয়া অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে। যা পেটের সর্বনাশ করতে যথেষ্ট।
৩. হৃদযন্ত্রের সমস্যা : প্রসেসড ফুডে অতিরিক্ত মাত্রায় নুন থাকে যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া কখনই শরীরের পক্ষে ভালো নয়। এই ধরনের খাবারে ফ্যাটের পরিমাণও অনেকটাই বেশি থাকে। যা কোলেস্টেরল সৃষ্টি করতে পারে শরীরে। আর উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মেলবন্ধনে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকা খুব একটা সম্ভব নয়।
* কীভাবে সতর্ক থাকবেন ?
কোন প্রসেসড ফুডের প্যাকেটে যদি লো ফ্যাট, লো ক্যালোরি, জিরো ফ্যাট, নো অ্যাডেড সুগার এই ধরনের কথাগুলি দেখে ভেবে নেন যে দারুন স্বাস্থ্যকর খাবার হতে চলেছে তা কিন্তু একেবারেই নয়। প্যাকেটের গায়ে প্রত্যেকটি উপাদান সম্পর্কে পরিষ্কার বর্ণনা না দেওয়া থাকলে কখনই তা কিনবেন না। নো অ্যাডেড সুগার লেখা থাকলেও অনেক সময় উপকরণে হাই ফ্রুকটোজ কল্ন সিরাপ, কেন জুস ক্রিস্টাল এই ধরনের উপকরণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। জেনে রাখবেন এইগুলিও কিন্তু বাড়তি চিনির জোগান দিচ্ছে খাবারে। অনেকে প্যাকেটের গায়ে অর্গানিক শব্দটি লেখা দেখে সেই খাবারকে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন। তবে অর্গানিক নুন চিনি কিন্তু একেবারে সাধারণ নুন চিনি । সেখানে কোন পার্থক্য নেই। তাই প্যাকেটজাত খাবারকে নিজের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় না যুক্ত করাই ভালো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম