কে সর্বকালের সেরা, লিওনেল মেসি নাকি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো?প্রশ্নটা নতুন কিছু নয়। যুগ পেরিয়ে গেলেও উত্তর এখনও মেলেনি। হয়তো সঠিক উত্তর বের করা সম্ভবও নয়। তবে জানেন কী বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ফুটবলারের চোখে কে এগিয়ে?
‘আনা মারিয়া মার্কোভিচ’, ক্রোয়েশিয়ার এই মহিলা ফুটবলার পরিচিত ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ফুটবলার’ হিসেবে। তাঁর চোখে লিওনেল মেসি নন সর্বকালের সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের থেকে পর্তুগিজ সুপারস্টারকেই এগিয়ে রেখেছেন। একটি ব্রিটিশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক কথা জানান বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ফুটবলার।
রোনাল্ডো কেন তাঁর চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলার তাঁর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মার্কোভিচ বলেন, “মেসি দারুণ ফুটবলার। অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু আমি বলবো রোনাল্ডো সেরা। কারণ হচ্ছে তাঁর শৃঙ্খলাবোধ। রোনাল্ডো তাঁর সর্বস্ব দিয়ে খেলেন, সর্বস্ব দিয়ে প্রস্তুতি নেন।” ফুটবলের প্রতি রোনাল্ডোর যে নিষ্ঠা, সেটাই তাঁকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে। চলতি বিশ্বকাপে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা ও রোনাল্ডোর পর্তুগাল। একদিকে যখন মাঠ জুড়ে আলো ছড়াচ্ছেন মেসি। তখন অন্যদিকে ডাগআউটে বসে নিস্তব্ধ চোখে চেয়ে আছেন মাঠের দিকে। তবে অনেকেই চাইছেন দুই মহাতারকার একজনের হাতের স্পর্শ পাক সোনালী ট্রফি।
ক্রোয়েশিয়া পুরুষ দলের বড় সম্পদ লুকা মদ্রিচ। তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছায় ক্রোয়াটরা। তবে ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। স্বদেশীয় লুকা মদ্রিচ হলেন মার্কোভিচের জীবনের আদর্শ। বিশ্বের সর্বোচ্চ সুন্দরী ফুটবলারের চোখে প্রিয় মহিলা ফুটবলার হলেন সুইস তারকা রোমনা বাচমান।
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ফুটবলার ‘আনা মারিয়া মারকোভিচের জন্ম ১৯৯৯ সালের ৯ নভেম্বর স্প্লিট শহরে। মাত্র ১২ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে সুইৎজারল্যান্ড পাড়ি দেন ছোট্ট মার্কোভিচ। বড় হয়েছেন জুরিখে। সেই দেশে মহিলা ফুটবলের অভাবনীয় উন্নতি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ফুটবলের প্রতি মার্কোভিচের ভালোবাসা। গ্রাসহোপারের হয়ে ফুটবল খেলার সময় ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের নজরে পড়ে যান এই অ্যাটাকিং ফরোয়ার্ড। তারপরেই ডাক পান ক্রোয়েশিয়া টিমে ফুটবল খেলার জন্য।
২০২১ সালে ক্রোয়েশিয়া মহিলা দলে অভিষেক হয় মার্কোভিচের। দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত নয়টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। করেছেন একটি মাত্র গোল। ২০১৭-১৮ সালে পেশাদার ফুটবলে পদার্পণ মার্কোভিচের। তাঁর প্রথম ক্লাব সুইজারল্যান্ডের এফসি জুরিখ। এরপর যোগ দেন গ্রাসহোপারে। সেখান থেকেই ক্রোয়েশিয়া দলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে আবেদনময়ী আখ্যা একেবারেই না পসন্দ মার্কোভিচের। বরং পছন্দ করেন সুন্দরী আখ্যা।’