।। প্রথম কলকাতা ।।
Argentina’s vice president: প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমে প্রতারণা তারপর বন্ধুকে সরকারি কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজ। মূলত তিনি সরকারি কাজে অনিয়ম করেছেন, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যার ফলস্বরূপ দুর্নীতির দায়ে ছয় বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেলেন। ৬৯ বছর বয়সী ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের পর আদালত তার বিরুদ্ধে এমনটাই রায় দিয়েছে। জানা গিয়েছে ফার্নান্দেজ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
দুর্নীতির দায়ে আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে কির্চনারকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। যদিও প্রসিকিউটররা রায় ঘোষণার পর ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে আদালত ৬ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আর্জেন্টিনার এই ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে আশা এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু তাই নয়, রায়ের পর নিজের বক্তব্য রাখার সময় জানিয়েছেন তিনি নাকি বিচারিক মাফিয়ার শিকার হয়েছেন। আর্জেন্টিনায় কখনো এর আগে কোনোদিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা কেউ দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তি পাননি। এই প্রথম কেউ আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালীন দোষী সাব্যস্ত হলেন, তাও আবার দুর্নীতির অভিযোগে।
তিনি ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। প্রসিকিউটরদের দাবি অনুযায়ী, সেই সময় তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি যে বন্ধুকে সরকারি কাজে সুযোগ করে দিয়েছিলেন তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। মোটা টাকা ঘুষের বিনিময়ে তার বন্ধুকে বড় বড় সরকারি নির্মাণ পাইয়ে দিয়েছিলেন। যদিও এই ঘটনায় শুধু মাত্র আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট নয়, পাশাপাশি রয়েছেন আরো সাত জন দোষী। যাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টকে কারাবরণ করতে হবে না। যেহেতু তিনি দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাই তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। আদালত তাকে আজীবনের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আপিলের পর এই মামলা যতদিন না শেষ হবে ততদিন পর্যন্ত তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন। প্রায় দুই দশক ধরে ফার্নান্দেজ আর্জেন্টিনার রাজনীতির কেন্দ্রে রয়েছেন। বহুবার তিনি জনগণের ভালোবাসা আর ঘৃণার সম্মুখীন হয়েছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম