।। প্রথম কলকাতা ।।
China: করোনা মহামারী ঠেকাতে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চিনা সরকার। আর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সে দেশের জনগণ। এবার সরকারও জনগণের দাবিতে সম্মতি জানাল। বেজিং সহ অন্যান্য দেশের মতো এবার শাংহাইয়েও কোভিডবিধি শিথিল করল চিনা সরকার। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় বলা হচ্ছে এমনটাই। এর আগে কোভিডবিধি নিয়ে এরকম বিক্ষোভ দেখা যায়নি অন্য কোথাও। ‘এনডিটিভি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এবার শাংহাইয়ের বাসিন্দাদেরার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে গেলে কোনও করোনা রিপোর্টের প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি পার্ক এবং অন্যান্য জায়গায় প্রবেশের জন্য ৪৮ ঘন্টা আগে কোনও টেস্ট করানোর দরকার নেই।
চলতি বছর এই শহরটির উপর অনেক বিধিনিষেধ লাগু হয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকে এই শহরে সমস্ত মল, দোকান-বাজার খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রিপোর্ট অনুযায়ী, খোলা এলাকায় প্রবেশের জন্য কোনও করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের আর প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে মহামারীর মাত্রা ছাড়িয়েছিল শাংহাই। যার দরুন জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছিল প্রশাসন। অবশেষে বছরের শেষে এসে তা শিথিল করেছে চিন। অন্যদিকে বেজিং, চিনের দক্ষিণের গুয়াংঝাউ শহর, উত্তরের শিজাউয়াং, দক্ষিণ-পশ্চিমে চেঙদু সহ একাধিক শহরে প্রয়োজন অনুযায়ী করোনাবিধি শিথিল করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়ছে চিনে। জানুয়ারি ২০২০ থেকে কোভিড মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিগত তিন বছরে নানা বিধি-নিষেধের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে এ দেশ। তিন বছর আগে প্রথম চিনেই করোনা ভাইরাসের হদিস মিলেছে। খাতায়-কলমে লেখা আছে এমনটাই। আর তারপরেই ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র এবং গোটা বিশ্বে নেমে আসে অতিমারীর প্রকোপ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য টিকার আদান-প্রদান শুরু হয়। এদিকে দেশের নাগরিকদের কোনও বিদেশী টিকা নেওয়ায় অনুমতি দেয়নি চিনা সরকার। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি টিকার উপরই ভরসা রেখেছে তাঁরা।
সম্প্রতি চিনা প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত করার জন্য আওয়াজ তুলেছেন বিক্ষুব্ধ জনতাদের একাংশ। শুক্রবার পর্যন্ত চিনে করোনায় নতুন করে ৫ হাজার ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে শাংহাই জার্নাল প্রিভেনটিভ মেডিসিন দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কোভিডবিধি শিথিল করলে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে সে দেশে। সেইসঙ্গে চলতি বছর করোনা সংক্রমণ ছাড়াতে পারে সাড়ে ২৩ কোটি। রিপোর্ট অনুযায়ী গবেষকরা জানিয়েছেন, চিনে যেমন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় টিকাদানের হার কম, তেমনই সেইসঙ্গে যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁদের বুস্টার ডোজ নেওয়ারও অনিচ্ছা রয়েছে।
আর টিকা না নেওয়ায় তাদের করোনা প্রতিরোধ শক্তি এখন কতটা কার্যকর রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। কিন্তু এইসবের মাঝে জনতার দাবি মেনে নিয়ে রবিবার বেজিং ও শেনজেন শহর থেকে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি কমিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও খোলা জায়গায় প্রবেশের জন্য করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আর বাধ্যতামূলক নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম