।। প্রথম কোলকাতা ।।
AIMS Entrance: অভাবের সংসার। বাবা পেশায় একজন গ্যাস মেকানিক। মা গৃহবধূ। ছোট থেকেই দারিদ্রতা ছিল সঙ্গী। কিন্তু নামেই এবার পরিচয় করল সে। অভাব অনটনের মধ্যেই অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছে গেল সরস্বতী। দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে ডাক্তারি হওয়ার লক্ষ্যে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (AIIMS) পৌঁছে গেল দুর্গাপুরের সরস্বতী
বাবা পেশায় গ্যাস মেকানিক। মা গৃহবধূ। কাঠের উনুনে রান্না চরম অনটনের মধ্যে চলত সংসার। দুর্গাপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু নগর কলোনির সরস্বতী রজক। প্রথম পর্যায়ের পড়াটা শুরু হয়েছিল স্থানীয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তারপর বিজ্ঞান নিয়ে রানীগঞ্জের ত্রিবেণীদেবী ভালোটিয়া কলেজে পড়াশোনা। তারই মধ্যে চিকিৎসার অভাবে দিদিমার মৃত্যু স্বচক্ষে দেখেছিল সরস্বতী। তারপরেই তার লড়াইটা শুরু হয়। জেদ ছিল চিকিৎসক হওয়ার। সেই লক্ষ্যে নিট পরীক্ষা দেয় সে। ২০২২সালে নিট পরীক্ষা দেয়। তারপরেই সে জায়গা করে নেয় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (AIMS)। এখন তার লক্ষ্য চিকিৎসক হয়ে দিন দরিদ্র মানুষের সেবা করা। সরস্বতীর মা মিনা রজক মেয়ের সাফল্যে গর্বিত। সে চান পাশে দাড়াক প্রশাসন। সরস্বতীর এই সাফল্যে পাড়া-প্রতিবেশীরাও বলছে এ যেন বাস্তবের সরস্বতী। সরস্বতীকে কেউ মিষ্টি কেউ সংবর্ধনা দিতে শুরু করে। সকলে চাইছে চিকিৎসক হয়ে এলাকার দিন-দরিদ্রদের সেবা করুক সরস্বতী।
তবে কীভাবে মিলল এত বড় সাফল্য? সরস্বতী জানিয়েছেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৯ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। রাত জেগে পড়াশোনা করতেন। মা জেগে বসে থাকতেন। তার দাদা গ্রাজুয়েশন শেষ করে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়।কারন তার বাবার পক্ষে দুই ভাই বোনকে একসঙ্গে পড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না।
অর্থাৎ বলা যেতে পারে মেধার জোরে দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে পৌঁছে গেল সরস্বতী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম