।। প্রথম কলকাতা ।।
TOTO: বাংলার রাস্তায় রাস্তায় আর চলবে না টোটো! চালকদের জন্য খারাপ খবর। টোটোর দাপাদাপি একদম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! রাজ্যে আর থাকছে না টোটো পরিষেবা! বিরাট পদক্ষেপ প্রশাসনের। শুরু হতে চলেছে অভিযান। রাস্তা দিয়ে যেন হাঁটাই যায় না। টোটো যদি আচমকা বন্ধ হয়ে যায় আপনার সুবিধা হবে নাকি অসুবিধা? কারণ কেউ কেউ বলছেন কাছে পিঠে ভরসার যান টোটো। অটোর যখন লম্বা লাইন থাকে এই দুটোই কিন্তু আপনাকে পৌঁছে দেয় গন্তব্যস্থলে। টোটো নিয়ে কেন কড়াকড়ি করছে প্রশাসন?
ঠিক কি বলা হচ্ছে? তাহলে কি সত্যি কলকাতার পথে-ঘাটে আর টোটো চলবে না?
এর আগে ২০২৩ সালে জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার যাকে বলে ফাইনাল ডিসিশন। রাজ্য জুড়ে এমনিতেই লাগাম ছাড়া ভাবে টোটোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যেখানে সেখানে টোটো পার্কিং। লাগামছাড়া ভাবে টোটো চলার কারণে রাস্তা দিয়ে পারাপার করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই কারণেই কি রাজ্যে বা টোটো চলাচল বন্ধ!
পুরো বাংলাতে না হলেও এমন ঘটনা কিন্তু হয়েছে। সকালে ডায়মন্ড হারবারে যা হয়েছে তা কি এবার গোটা বাংলা জুড়ে হতে চলেছে? টোটো বন্ধ থাকায় ডায়মন্ড হারবার কার্যত যানজটমুক্ত। ফাঁকা হয়ে গিয়েছে শহর। এক কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে টোটো চলে আড়াই হাজারেরও বেশি! তারা যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা এবং নামানোয় যানজটে দুর্ভোগ বাড়ে। তাই পুরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টোটো চালকদের নতুন বাইপাস রোড ধরে যাতায়াত করতে হবে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বারাসাতেও টোটো নিয়ে প্রচণ্ড কড়াকড়ি। টোটোয় থাকতে হবে বিশেষ বারকোড। না হলেই ধরবে পুলিশ। সত্যি বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪ হাজার টোটোকে বারকোড দিয়ে নির্দিষ্ট রুটে চলাচলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু একটা শ্রেণীকে অসুবিধার মধ্যেও পড়তে হবে প্রচুর। বাস, ট্রেন থেকে নেমে বাড়ি যাওয়া অথবা বাড়ি থেকে বাস স্টেশন, রেল স্টেশন যাওয়া, বাজার করতে যাওয়া ইত্যাদি সবকিছুতেই এখন সাধারণ মানুষদের টোটো নির্ভর হয়ে উঠেছে। তারা এবার একটু হলেও পরিষেবা কম পাবেন।
ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। ২০২৩ সালে । তখন রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল জাতীয় সড়ক, রাজ্যের হাইওয়ে এবং বিভিন্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বেআইনি টোটো, অটো র যান চলাচল নিষিদ্ধ । সমস্ত জেলা পুলিশ, প্রশাসনকেও এই নির্দেশের বিষয়ে জানানো হয়েছিল । এমনটাই জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেই দৌরাত্ম ক কমেডি পুরোপুরি। তাই বাধ্য হয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত। এরপরেও বেআইনিভাবে এই যানগুলি চললে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম