।। প্রথম কলকাতা ।।
Pregnancy Tips: জীবনে একবার মা হওয়ার স্বাদ নিতে চান অনেক মহিলাই। কিন্তু মনে রাখবেন, মা হওয়া সহজ কথা নয়। এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। অনেকে কিছু কিছু ভুল করে বসেন। সে কারণে মা হওয়ার বাসনা অপূর্ণ থেকে যায়। প্রেগনেন্ট হওয়ার আগে মহিলাদের কোন কোন ভুল শুধরে নিতে হবে তা জানেন কী? মনে রাখবেন এক্ষেত্রে নিজেদের শরীরের হাল হকিকত অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভধারণের জন্য নিজের লাইফস্টাইলেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ছাড়তে হবে কিছু বদভ্যাসও। কোন কোন জিনিস রুটিন থেকে বাদ দিলে মা হওয়ার স্বপ্ন দ্রুত পূরণ হবে তা জানেন? তার হদিশ পেতে এই ভিডিওটি দেখে নিন চটপট।
মনে রাখবেন, বেশি মোটা হওয়া ভালো নয়। আবার দ্রুত ওজন ঝড়িয়ে ফেলাও খারাপ। গর্ভধারণের আগে অনেকের মধ্যেই ওজন কমানোর হিড়িক দেখা যায়। কিন্তু তা ক্ষতিকর হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওজন ঝড়িয়ে ফেললে প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। আসলে খুব বেশি ওজন কমলে হরমোনের তারতম্য ঘটে। তখন প্রতি মাসে নিয়মিত পিরিয়ড নাও হতে পারে। তাতে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। ঠিক একই কারণে গর্ভধারণের জন্য অতিরিক্ত ওজনও কমিয়ে ফেলতে হবে।ওবেসিটির কারণে নিয়মিত মাসিক না হলেও গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ওবেসিটি নিয়ে প্রেগনেন্ট হলেও গর্ভপাত, জেস্টেশনাল ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই গর্ভধারণের আগে এবং গর্ভাবস্থায় একটা স্বাস্থ্যকর ওজন রাখতে হবে।
মনে রাখবেন, ওজন ঝরানোর জন্য রাত-দিন ঘাম ঝরানো শরীরচর্চাও কিন্তু গর্ভধারণের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওজন ঠিকঠাক থাকলেও খুব বেশি দৌড়ানো, এরোবিকস, সাঁতার কাটা বা বাইকিং প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় অনেকটা। কারণ খুব বেশি শরীরচর্চার কারণে হরমোনের তারতম্য দেখা দেয়। ফলে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। আর ডিম্বাণু পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে প্রেগনেন্সির সম্ভাবন তো কমবেই।
এই সময় অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। গর্ভধারণের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সময়ও অ্যালকোহল থেকে সাত হাত দূরে থাকতে হবে। অন্ততপক্ষে পরবর্তী পিরিয়ডের তারিখ না আসা পর্যন্ত অ্যালকোহল না ছোঁয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাবী মা মদ্যপান করলে সন্তানেরও ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও সন্তানধারণের চেষ্টায় থাকলে আপনার স্বামীকেও মদ্যপান থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মদ্যাপনের কারণে পুরুষ দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে পারে। তাতেও প্রেগনেন্সিতে বাধা সৃষ্টি হয়। মনে রাখবেন,আপনার প্রেগনেন্সিতে বাধা তৈরি করতে পারে ধূমপানও। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা থাকলে দ্রুত সিগারেট ছাড়তে হবে। আসলে ধূমপানের কারণে ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং সার্ভিক্সে পরিবর্তন দেখা যায়। এর ফলে গর্ভপাতের সম্ভাবনাও প্রবল হয়।
ধূমপান করলে ওভারি কম পরিমাণে ডিম্বাণু উৎপাদন করে। ডিম্বাণু উৎপাদনের পরিমাণ কমলে প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। শুধু আপনি নন, আপনার পার্টনারকেও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ায় আর এক বিপত্তি দেখা দেবে। অনেকেই প্রেগনেন্ট হওয়ার চেষ্টা করতে থাকলে নিজের সমস্ত ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটা একেবারেই করবেন না। বরং এসব ওষুধ বন্ধ করার কারণে আপনার এবং সন্তানের বিপদ বাড়তে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই সময় কোনও ওষুধ বন্ধ করবেন না। খিঁচুনি, ডিপ্রেশন বা উচ্চ রক্তচাপের কারণে ওষুধ চললে তা অবহেলা না করাই ভালো। বরং এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম