।। প্রথম কলকাতা ।।
Bollywood: সইফ-অমৃতার ডিভোর্সের কলকাঠি নেড়ে ছিলেন শর্মিলাই? এবার সেই শর্মিলাকে নিয়েই বড়সড় মন্তব্য সারা আলি খানের। শোনালেন ঠাকুমার সাথে তার ইকুয়েশনের কথা। বড়ি আম্মা-কে নিয়ে অকপট সারা আলি খান। নাতনীকে নিয়ে শর্মিলা ঠাকুর কী বলছেন? পুরুষদের নিয়ে নাতনি সারাকে দিলেন বিশেষ পরামর্শ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সারার মন্তব্য।
সারা আলি খানের বয়স তখন সবে ৯। তখনই ডিভোর্স নেন সইফ-অমৃতা। যদিও বাবার সাথে সম্পর্ক এখন ভালোই। তবে সারা কিন্তু মা অন্ত প্রাণ। কিন্তু ঠাকুমার সাথে ইকুয়েশনটা কেমন? কারণ বলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায়, শর্মিলা ঠাকুর নাকি অমৃতাকে একেবারেই পছন্দ করতেন না। কেউ কেউ তো বলে শর্মিলার জন্যই নাকি বিয়ে ভেঙেছিল সইফ-অমৃতার। তা সেই শর্মিলার সাথে সারার এখন কেমন সম্পর্ক? বড়ি আম্মা-কে নিয়ে কী ভাবেন সারা আলি খান?
অনেকেই মনে করেন, সারা নাকি শর্মিলার প্রতি প্রসন্ন নন। মায়ের প্রতি হওয়া অবিচারের কারণেই নাকি ঠাকুমাকে সহ্য করতে পারেননা তিনি। তবে বাস্তবটা কিন্তু একেবারেই তা নয়। উল্টে তিনি আবার ঠাকুমা শর্মিলাকে ছেড়ে থাকতেই পারেন না। ওদিকে ঠাকুমাও নাকি সারাকে চোখে হারান। উহঃ, কোনও গুজব নয়। একথা খোদ জানিয়েছেন সারাই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, Cool’ ঠাকুমা শর্মিলাই তাদের পরিবারের কণ্ঠ। ২০২০ সালে যখন পতৌদি খানদান ভাঙতে বসেছিল তখন নাকি সবটা সামলে ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। তিনি যতটা পুরনো মানসিকতার, ততটাই নাকি আধুনিক। এমনকি ছেলেদের ভালো মন্দ সবকিছুই নাকি শর্মিলা ঠাকুরই তাকে বুঝিয়ে দেন। ছেলেদের বিষয়ে নাকি তিনি চ্যাম্পিয়ন। অর্থাৎ মা খান পরিবার ত্যাগ করলেও, ঠাকুরমা শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে সারার জমাটি রসায়ন।
কারণ বাবা-মায়ের সম্পর্ক ভাঙার পেছনে যে শর্মিলার হাত আছে এটা তিনি মানেন না। গুজবে কান দেওয়ার পাত্রী তিনি নন। উল্টে তিনি তো সবসময়ই শর্মিলার থেকে শিখতে চান। ষাট ও সত্তরের দশকে শর্মিলাকে দেখে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। রীতিমত বলিউড কাঁপিয়েছিলেন এই বঙ্গ ললনা। এক সময় শর্মিলাকে নিয়ে যে চর্চা হত আজ সেই একই চর্চা সারাকে নিয়েও।
তবে এটা তো ঠিক যে, বলিউডের গসিপ নিয়ে সেভাবে কিছু বলা যায়না। আজ এটা শোনা যায় তো কাল সেটা। অমৃতা-সইফের ব্যাপারটাও আজও স্পষ্ট নয়। কানাঘুষা তো শোনা যায়, শর্মিলাই তাদের ডিভোর্সের কারণ। যে কারণে আজও নেট মাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হতে হয় শর্মিলাকে।
কিন্তু মজার বিষয় হল, অমৃতার আবার এখন পতৌদি খানদানের সঙ্গে সম্পর্ক বড়ো ভালো। নাতনী সারা তো হামেশাই ঠাকুমার সাথে তাকে। প্রেম থেকে শুরু করে কেরিয়ার, সবটাই তিনি আলোচনা করেন ঠাকুমার সাথে। এখন তো তার ‘বড়ি আম্মি’ই তার ফ্রেন্ড, ফিলোজফার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম