।। প্রথম কলকাতা ।।
Abhishek Banerjee: শনিবার কাঁথির জনসভায় এসে উপস্থিত হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ৩.১০ নাগাদ কাঁথির মঞ্চে এসে পৌঁছান তিনি। তাকে দেখে কর্মী এবং সমর্থকদের তুমুল উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন তিনি সভামঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চায় আমরা সেই ভাবে তৃণমূলকে গড়তে বদ্ধপরিকর। ঠিকাদাররা যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চায় আমরা সেই ভাবে তৃণমূলকে গড়তে বদ্ধপরিকর নই’।
হলদিয়ার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ঠিকাদারি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দল একসঙ্গে করা যাবে না। নয় তৃণমূল কংগ্রেস দল করুন নয় ঠিকাদারি ছাড়ুন। কাঁথির সভায় তিনি সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সেটা আমরা বাস্তবে করে দেখিয়েছি। যেভাবে দল হলদিয়ায় পরিচালিত হয়েছে আগামী দিনে সারা বাংলায় সেই ভাবেই দল পরিচালিত হবে। পূর্ব মেদিনীপুরেও সেই ভাবেই পরিচালিত হবে’।
এদিনের সভা মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ভোট হবে। শনিবারের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরে। আগামীকাল থেকে ‘বেইমান মুক্ত’ কর্মসূচি পালিত হবে এই জেলায়। এমনটাই জানালেন তিনি। একইসঙ্গে নির্দেশ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্বকেও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথি তিন নম্বর ব্লকের মারিশদা পাঁচ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন সভা মঞ্চ থেকেই। একই সঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে মেগা সমাবেশে অংশ নেওয়ার আগে হঠাৎই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় থামে মাঝপথে। মারিশদা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাদের সাথেই ঘুরে দেখেন তাদের ঘর বাড়ি। তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন যে তাঁরা রেশন এবং অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান কিনা। সেখানে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জবাব আসে, রেশন মিললেও সরকারি ভাতা পান না তাঁরা। এছাড়াও জল নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ওই গ্রাম ছেড়ে সভার পথে যাওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে যান ‘দেখে গেলাম, যা করার করব’।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম