।। প্রথম কলকাতা ।।
Summer Hacks: গরমে পারদ চড়ছে হু হু করে। দাবদাহ ও তীব্র রোদে বাইরে বেরোলেই ঝলসে যাচ্ছে চোখ মুখ ? হাসফাঁস জীবনে বাড়িতেও থাকা বড় অস্বস্তি ? রোদের তাপে তেতে উঠছে বাড়ি ঘর ? দিনের গরম রাতে কমছে না। বাতাসে আদ্রতার মাত্রা এতটাই ঊর্ধ্বমুখী যে প্রচন্ড ঘাম হচ্ছে। এই কষ্টকর পরিবেশে প্রত্যেকেই চাইছেন সামান্য ঠান্ডা বাতাস। কেউ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে সামান্য জিরিয়ে নিতে চাইছেন। কিন্তু সকলের বাড়িতে এয়ারকন্ডিশনার নেই। এছাড়াও প্রত্যেক ঘরে তো এয়ারকন্ডিশনার লাগানো সম্ভব নয়। রান্না করা থেকে বাড়ির সবরকম কাজে রয়েছে সারাক্ষণ তো এসির মধ্যে ঢুকে থাকা সম্ভব নয়। তাহলে উপায় ?
শিখে রাখুন এই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার বিশেষ কিছু টিপস। যার সাহায্যে খুব সহজেই এসি ছাড়াও বাড়ি ঘর ঠান্ডা করতে পারবেন আপনি। হ্যাঁ এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যার সাহায্যে আপনি এসি ছাড়াও দিব্যি ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন।
ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে শীতলভাবে রাখতে সাহায্য করে বেশ কিছু গাছ। তাই আপনার বাড়িকে গাছ দিয়ে সাজিয়ে দিতে ভুলবেন না। শোয়ার ঘরে বসর ঘরে বারান্দায় সুন্দর সুন্দর কাজ রাখুন। পিউরিফাইং গাছ গুলির উপর জোর দিন। যেমন snake plant পিস, লিলি, স্পাইডার প্লান্ট আপনি ঘরে রাখতে পারেন।তাহলে আপনার ঘরের শোভাও বাড়বে আর তাপমাত্রা অনেকটা কমবে। ঘর ঠান্ডা রাখতে খসখসে পর্দা ভারী কার্যকরী। বাড়িতে জানালায় খসখস লাগাতে পারেন আপনি।
বেপর্দা আপনার ঘরকে যেমন ঠান্ডা রাখবে তেমনি অন্তরের শোভা বাড়াবে। বারবার পর্দাগুলিতে জল স্প্রে করে দিন ঘর ঠান্ডা থাকবে।দিনের বেলায় সিলিং ফ্যান চালালে যে বেশি গরম লাগবে। সেটা অনেকেরই জানা রয়েছে। তাই দিনের বেলা পারলে সিলিং ফ্যান না চালালেই ভালো। ভরসা রাখতে পারেন সাধারণ স্ট্যান্ডিং ফ্যানে। ঘরের ভেন্টিলেশন গুলো ঠিকঠাক রাখতে ভুলবেন না। সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ঘরের মেঝে তিন চারবার জল দিয়ে মুছে নিন। এতে সিমেন্টের মেঝে ঠান্ডা থাকে তার দ্রুত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে না। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনার পরিবারে যদি বৃদ্ধ মানুষ বা ক্ষুদে সদস্য তাকে তাহলে মেঝে না ঠাণ্ডা করাই ভালো।
আপনার ঘরে ভারী এবং গাড়ো রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। মোটা ভারী পর্দা ভেদ করে রোদের তাপ সহজে ঘরে এসে পড়ে না। তাই বাইরের রোদের তেজ বাড়লেও আপনার ঘরটাকে ঠান্ডা রাখবে। তাপপ্রবাহ কমে গেলেই ঘরে জানলা খুলে দিন যাতে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে। আপনি রান্না ঘরের বেন্টিলেটর চালিয়ে রাখতে পারেন।
আর একটা খুব দারুণ কাজ করতে পারেন টেবিল ফ্যানের নিচে একটি পাত্রে শীতল জল কিংবা কিছু বরফ রেখে দিতে পারেন এতে ঘরের বাতাস শীতল হতে পারে।
সারাদিন ঘরের ছাদ রোদ থেকে তাপ শোষণ করে। সেজন্য ছাদের উপর রোদের আলো সরাসরি পৌঁছাতে না পারে এমন কিছু ঢেকে রাখুন। সন্ধ্যায় বাড়ির ছাদে জল ঢেলে দিতে পারেন। হালকা রোগের পাতলা সুতির চাদর বিছানায় পাতুন। গদির উপরে একটি মাদুর বা শীতলপাটি পেতে রাখুন এতে বিছানা ঠান্ডা হবে। সাধারণ টিউবলাইট এ ঘর বেশি গরম হয় সম্ভব হলে কম আলোর এলইডি ব্যবহার করুন এতে আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে।
দিনের বেলা খুব প্রয়োজন না হলে অযথা আলো জ্বালিয়ে রাখবেন না। ঘর থেকে বাড়তি জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। ঘর যত গেঞ্জি হবে তত গরম বাড়বে। ফাঁকা ঘরেই হাওয়া চলাচল ভালো হবে গরমও কমবে। এই গরমে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্র যতটা পালন কম ব্যবহার করুন। রাত্রেবেলা জানলার সামনে ভিজে কাপড় টাঙিয়ে দিন এতে ঘর ঠান্ডা হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম