।। প্রথম কলকাতা।।
Madras High Court: ধর্মীয় স্থানে শান্তি বিঘ্নিত করে মোবাইল ফোন। যে কারণে তামিলনাড়ুর মন্দিরে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মূলত পূজার স্থানগুলির পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য মন্দিরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলিতে বলা হয়েছে এমনটাই দাবি জানিয়েছে আদালত। ‘এনডিটিভি’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের অসুবিধা এড়াতে আদালত বলেছে যে মন্দিরগুলিতে ফোন ডিপোজিট লকার স্থাপন করা উচিত।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আদালতের আদেশ মেনে চলা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা কর্মীও নিয়োগ করা হবে। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর তিরুচেন্দুরের সুব্রমণ্য স্বামী মন্দিরে কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা নিয়ে আবেদন জানায়। যার পরে হাই অর্ডার এসেছে শুক্রবার। আবেদনকারী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, মোবাইল ফোন মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং দেবতার ছবি ক্লিক করা আগামাসের নিয়মের লঙ্ঘন।
বলা হয়, ফটোগ্রাফি মন্দিরের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে। পাশাপাশি মন্দিরে একটা ডেকোরাম বজায় রাখার জন্য ড্রেস কোডের সম্মতিও চেয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই মোবাইল ফোন নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি হয়ে গিয়েছে সুব্রমণ্য স্বামী মন্দিরে। বাকি রাজ্যের অন্যান্য মন্দিরে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে এদিন মাদ্রাজ হাইকোর্টে বিচারপতি আর মহাদেবন ও বিচারপতি জে সত্যনারায়ণ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ কড়া নির্দেশ দেয়। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মর্মে কমিশনার অব হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এনডাওমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, যাঁরা সে রাজ্যের একাধিক মন্দিরের দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের এ বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনিতে কেরলের শ্রী কৃষ্ণ মন্দির, তামিলনাড়ুরই মাদুরাইয়ে মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর মন্দির ও তিরুপতির শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে প্রবেশের আগে জমা রাখতে হয় মোবাইল ফোন। এদিন আদালতের ২ বিচারপতি এই সকল মন্দিরের উদাহরণ দিয়েছেন। এবার সে রাজ্যের যে কোনও মন্দিরে ঢুকতে গেলে নেওয়া যাবে না মোবাইল ফোন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম