।। প্রথম কলকাতা ।।
Education: বছর বছর রিপোর্ট কার্ড আর নয়। এবার মিলবে একটাই রিপোর্ট কার্ড। তাতে উল্লেখ থাকবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পর্যন্ত সব নম্বর। তাকে রেকর্ড বুকও বলা যেতে পারে। এতে নথিভুক্ত থাকবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পডুয়াদের মূল্যায়ন। আপনারা তো দেখছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন এসেছে ৷ এবার পরিবর্তন এল রিপোর্ট কার্ডেও ৷
এতদিন নিচু ক্লাসের নম্বর ততটা গুরুত্ব পেত না। মাধ্যমিকের কথা ভেবে উঁচু ক্লাসে ভালো ফলের জন্য পড়ুয়াদের চাপ দিতেন অভিভাবকরা। এবার একটাই রিপোর্ট কার্ডে ধরা থাকবে সবকিছু। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আলাদা রিপোর্ট কার্ডের পরিবর্তে একটিই কার্ড দেওয়া হবে৷ যেখানে পড়ুয়াদের প্রতিটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ থাকবে ৷ অর্থাৎ কোনও শ্রেণিকেই আর হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না। সন্তান কোন বিষয়ে ধারাবাহিক ভালো ফল করছে তা এই কার্ড দেখেই বুঝতে পারবেন অভিভাবকরা। সেইমতো তাঁরা সন্তানকে ভবিষ্যতের পড়াশোনার দিশা দেখাতে পারবেন। কি কি থাকছে এই রিপোর্ট কার্ডে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে পড়ুয়াদের আরও উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেই জন্যই এই নতুন পদ্ধতি সর্ব শিক্ষা মিশনের। সেই সঙ্গে দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠতে যে সমস্তগুণ থাকা প্রয়োজন তা উল্লেখ থাকবে এই রিপোর্ট কার্ডে। নতুন এই রিপোর্ট কার্ডে লেখা থাকবে পড়ুয়ার আধার নম্বর। থাকবে বাবা মায়ের নামও।
নয়া এই পদ্ধতিতে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষা দফতর ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছাত্র-ছাত্রীদের সামগ্রিক বিকাশের জন্যই এই ভাবনা বলছেন তাঁরা। এই রিপোর্ট কার্ডে চোখ বুললেই একজন পড়ুয়ার বুদ্ধিমত্তা কতটা তা সহজেই বোঝা যাবে।জানা যাবে তার অন্যান্য আচরণের বিকাশ সম্পর্কেও। প্রতিটি শ্রেণিতে তার কীরকম ফলাফল হয়েছিল, পরবর্তী ক্লাসে পড়াশোনার মান কতটা উন্নত করতে হবে, সেই বিষয়েও উল্লেখ করা হবে৷
রিপোর্ট কার্ডে আগের ক্লাসের মূল্যায়নের মান উল্লেখ থাকায় পডুয়ারাও বুঝতে পারবে তাদের কতটা উন্নতি করতে হবে।
জানা যাচ্ছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই রিপোর্ট কার্ড চালু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে।পর্ষদের অধীনে থাকা প্রত্যেক স্কুলকে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে,তারা যেন এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রত্যেক পড়ুয়ার মার্কশিটের হিসেব নতুন হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ডে নথিভুক্ত করে। তবে এই রিপোর্ট কার্ডকে সাধুবাদ জানালেও সমস্যার কথাও বলছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, এতদিন পরীক্ষা হতো বিভিন্ন নম্বরের ভিত্তিতে। ছোট ক্লাসেদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা রয়েছে।
এদিকটা কি করে সামাল দেওয়া যাবে তা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে। শিক্ষা ভবনের এক আধিকারিক জানান, “মূল্যায়ণের বেশ কিছু বদল করা হয়েছে ৷ এই রিপোর্ট কার্ডটি গড়ে তোলার মূল ভাবনা হল একজন ছাত্র বা ছাত্রী সার্বিকভাবে গড়ে উঠতে পারছে কিনা তা দেখা। যদি কারও এই রিপোর্ট কার্ড হারিয়ে যায়, তাহলে স্কুল থেকেই বিনামূল্যে তাকে আরেকটি রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হবে। অর্থাৎ কোনও ছাত্র বা ছাত্রী সে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছে সেটা একটি রিপোর্ট কার্ডেই দেখা যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম