।। প্রথম কলকাতা ।।
Pooja room vastu: আমাদের জীবনে বাস্তু শাস্ত্রের কিন্তু ব্যাপক অবদান রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা যারা কিছু জানি না তারা হয়তো একে অবৈজ্ঞানিক বলে উড়িয়ে দেবেন। কিন্তু আদতে এই বাস্তুশাস্ত্রে নিজস্ব কিছু যুক্তি আছে যা অত্যন্ত কার্যকরী। বাস্তু মতে ঘরে প্রত্যেক জিনিসের জন্য নির্দিষ্ট দিক আছে। আর সেই জিনিসটি সেদিকেই রাখা বা করা উচিত। তা না হলে ঘরের বা বাড়ির অমঙ্গল হতে পারে। ঘরের মানুষের জীবন সুখকর হয় না। বাস্তু মতে আমাদের ঘরে ঠাকুরের আসনের স্থান নিয়েও বেশ কিছু কথা আছে। আসুন আজ সেই সম্পর্কিত কিছু কথা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করেনি।
ঠাকুর ঘর সর্বদা উত্তর-পূর্ব দিকে প্রতিষ্ঠিত হবে। ঠাকুর ঘরের উপরে বা নিচে বা পাশে কখনই টয়লেট বা বাথরুম তৈরি করা যাবে না। কোনও রকম অদরকারী জিনিস ঠাকুর ঘরে রাখা মোটেই শুভ নয়।
বাস্তু মতে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক অর্থাৎ ঈশান কোণে ঠাকুর ঘর করার সবচেয়ে ভালো দিক। ছাড়াও পূর্ব দিকে বা উত্তর দিকে করা যেতে পারে ঠাকুর ঘর। বেডরুম বা শোবার ঘরে ঠাকুর রাখা একদম উচিত নয়। তবে জায়গা একান্তই না থাকলে শোবার ঘরে ঠাকুর রাখলেও রাতে সেই জায়গায় পর্দা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এই দিকগুলোতে ঠাকুর ঘর নাহলে যে কোনো মানুষের জীবনে আসতে পারে দুর্ভাগ্য। একজন মানুষ সারাক্ষণ কষ্ট করে পরিশ্রম করার পরেও তার উপযুক্ত ফলাফল পাচ্ছে না। টাকা রোজগার করলেও সেই টাকা জলের মতো বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার বাড়িতে সারাক্ষণ অশান্তি লেগেও থাকছে।
তবে আজকের ফ্ল্যাট বাড়ির যুগে এত কিছু মেনে তো আর ঘর করা সম্ভব নয়। যদিও বা হয় তাহলে কিছু ভুল থেকেই যায়। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আমরা করতেই পারি যাতে আমাদের ঠাকুর ঘর ভুল জায়গায় হলেও তার অশুভুত্ব খানিক কম হতে পারে। যেমন সাধারণ ঘরের মেঝে আর ঠাকুর ঘরের মেঝের মধ্যে উচ্চতার ফারাক থাকবে। আর অন্যদিকে বড় ঠাকুর ঘর থেকে নেগেটিভ এনার্জি তৈরি হতে পারে। ঠাকুর ঘরে কখনো ছুড়ি, কাচি ধরনের জিনিস রাখা উচিত নয়। আপনার বাড়িতে যদি ঠাকুর ঘর উত্তর পূর্বে কেণে না হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু উপরের ছোট ছোট কথাগুলি মনে রাখলে আপনার ঠাকুর ঘরের থেকেই আপনি যথেষ্ট পজেটিভ এনার্জি পেতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম