।। প্রথম কলকাতা ।।
Probase Ghorkonna: ২ বছর পর দেশে ফিরলেন মহুয়াদি। ২৪ মাস যেন কাটছিলই না। মাকে ছেড়ে পরিবারকে ছেড়ে সেই দূরদেশে সংসার মহুয়ার। তাঁর সাথে দেশে ফিরল অনুরাগীরাও। কীভাবে মেহা, রামাকে নিয়ে ফিরলেন? সে এক কাণ্ডই বটে। তবে প্রথমেই শ্বশুরবাড়ি নয় বা বাপের বাড়ি নয়। সুদূর আমেরিকা থেকে এসে মেহা-রামাকে নিয়ে গেলেন ভারতের এই জায়গায়। রামা পেল নতুন বন্ধুকে। দেশে ফেরার কেমন সেই অভিজ্ঞতা মহুয়ার?
নমস্কার কেমন আছেন সবাইয়। প্রবাসে ঘরকন্যার আরেকটি ভ্লগে আপনাকে স্বাগত জানাই। মহুয়াদির কণ্ঠ শুনলেই যেন মন টা ভলো হয়ে যায়। নেটিজেনদের কাছে তিনি বড্ড প্রিয়। আমেরিকায় থেকে এতো টাকা রোজগার করেও কী করে মাটির মানুষ হয়ে থাকা যায় তা মহুয়া অন্যতম উদাহরণ। সেই মহুয়া দেশে ফিরলেন।
তবে রামাকে সামলানো মুখের কথা নয়। প্রতিটা মুহুর্তে ভারত ছোঁয়ার উত্তেজনা। ঘন্টা পর ঘন্টা পেরিয়ে যায় আর যেন তর সয় না। সকলের জন্য উপহার নিয়ে ফিরছেন। সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফেরা। তবে প্রথমেই বাড়ি গেলেন না। আগে পা রাখলেন ব্যাঙ্গালোরে। কারণ সেখানে মহুয়ার বোন রয়েছে। রামা পেল আরেক বন্ধু। মাসির ছেলের সাথে রামার জমবে ভালো। নিজের ভাইবোনেরা মহুয়ার কাছে কতটা আপন। তা তার ভ্লগ দেখলেই বোঝা যায়। তবে এরপর মায়ের বাড়ি যাবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
কোন কারণে মহুয়াকে সকলে এতোটা পছন্দ করেন?
মহুয়ার কথা বলার ভঙ্গি, কণ্ঠ দর্শকদের কাছে ভালোলাগার বিষয়। তাইতো তাঁর ভ্লগে এতো এতো ভিউজ। বিদেশ মানেই ভয় নয়। কীভাবে সাধারণ ভাবে, দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে থাকা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন মহয়া। আর আমেরিকা এবং সেখানকার টুকিটাকি ইনফরমেশন। পরিস্কারভাবে গুছিয়ে দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন। সবসময় সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের কথা ভাবেন মহুয়া। কোনও অহঙ্কার নেই তাঁর। এটাই তাঁর ভ্লগের ইউএসপি। ছেলে মেয়েদের বিদেশি আদব কায়দাতে বড় করতেই পারতেন মহুয়া। কিন্তু তা করেননি। নিজের দেশের সংস্কৃতিকে প্রতিদিন একটু একটু করে শিক্ষা দিচ্ছেন। তাইতো মেহা পরিস্কার বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে। রামাও পারে একটু আধটু।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খ্যাতি অর্জন করাটা এখন অনেকের কাছেই বেশ সহজ ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে। ভ্লগিং এই মুহূর্তে অতি জনপ্রিয় একটি পেশা। একটা সময়ে বিদেশে যে আত্মীয়রা বসবাস করতেন তাঁরা দেশে ফিরলে তাঁদের মুখ থেকে ইউরোপ, আমেরিকার গল্প শুনেই মন ভরাতে হত। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে একজন প্রবাসী কীভাবে ২৪ ঘণ্টা কাটান তা জানার জন্য নির্দিষ্ট ভ্লগে চোখ রাখলেই যথেষ্ট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম