।। প্রথম কলকাতা ।।
Rachna Banerjee won the Hooghly: হুগলি লোকসভা কেন্দ্রটা আর বিজেপির হাতে থাকল না। ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। হুগলির মাটিতে জোর টক্কর চলল দুই দিদির মধ্যে। একদিকে রাজনীতিতে অভিজ্ঞ লকেট, তো অপরদিকে অভিনয় জগত থেকে রাজনীতির মাটিতে রচনার দিদি নম্বর ওয়ান হওয়ার লড়াই। প্রথম থেকেই হুগলির মাটিতে রচনাকে দেখে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। নির্বাচনী প্রচারেও কোন ফাঁক রাখেননি। পাশাপাশি একইভাবে সক্রিয় ছিলেন লকেট। কিন্তু হুগলির মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিলেন রচনা ব্যানার্জিকেই। এই গড়ে হারলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজনীতির ময়দানে একেবারেই আনকোরা হওয়া সত্বেও রচনার জয় নিয়ে আশাবাদী ছিল তৃণমূল দল। নির্বাচনী প্রচারের সময় তাঁকে নিয়ে কম ট্রোল করা হয়নি। শিল্পের ধোঁয়া থেকে রিলস বানিয়ে হোক কিংবা দোকানে দাঁড়িয়ে ঘুগনি খাওয়া। যাই হোক, হুগলির মানুষ বুঝিয়ে দিলেন তারা পর্দার দিদি নম্বর ওয়ানকেই তাদের এলাকার দিদি নম্বর ওয়ান হিসেবে দেখতে চান। ভোটের ফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অভিনেত্রী রচনা, অবশেষে শেষ হাসিটাই হাসলেন তিনি।
বুথ ফেরত বহু সমীক্ষা হুগলির লোকসভা আসনে লকেটকে এগিয়ে রাখলেও, সেসব নিয়ে খুব একটা চাপে ছিলেন না রচনা। বরং বলেছিলেন তিনি বিষয়টা নিয়ে খুব একটা টেনশন করছেন না। আশা রাখছেন, যেভাবে পরিশ্রম করেছেন সেই অনুযায়ী ফল পাবেন। আর ভালো কিছুই হবে। রচনার কথায়, এর আগেও তিনি অনেক যুদ্ধ পার করে এসেছেন। কিন্তু এবারের যুদ্ধটা একদম অন্যরকম। এই যুদ্ধ মানুষের পাশে থাকার যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে তাঁকে জিতিয়ে দিল হুগলির মানুষ।
তৃণমূল প্রথম থেকেই এই কেন্দ্রে বাজি ধরেছিল, বিগত পাঁচ বছরে নাকি এখানে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সেভাবে দেখা মেলেনি। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর তার সরাসরি এফেক্ট গিয়ে পড়বে ভোট বাক্সে। তৃণমূলের সেই দাবি এবার সত্যি হল । রাজনীতির ময়দানে নতুন হয়েও বাজিমাত করলেন রচনা। হারালেন ওজনদার প্রার্থীকে। বাংলার দিদি মমতা ব্যানার্জিযে তাঁর আশা করেছিলেন, তিনি জিতবেন। সেই ভরসা তিনি রাখলেন। বিজেপি প্রার্থী লকেটের চ্যাটার্জির সঙ্গেও রচনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। একসময় দুজনে ছিলেন সহকর্মী। তবে বন্ধুত্ব যতই থাকুক, হুগলির মাটিতে মোদী বনাম মমতার লড়াইয়ে জয়ী হলেন তৃণমূলের তারকা পার্থী। প্রথম থেকেই রচনা বলে এসেছিলেন, তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চান। সাধারণ মানুষের কাজ করতে যান। এবার দেখার, হুগলির মানুষের স্বপ্ন আর আশা ঠিক কতটা পূরণ করেন। রচনার হাত ধরে নতুন পরিবর্তনের প্রহর গুনছে হুগলির মানুষ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম