।। প্রথম কলকাতা ।।
Tinea pedis: গরমে পায়ের আঙুলের ফাঁকে প্রায় ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটেছে। পায়ের আঙুলের ফাঁকে ঘা হয়ছে? বাড়িতে মা কাকিমাদের দেখবেন প্রায়শই এরকম হয়ে থাকে।
বিশেষ করে গরমের সময় পায়ের আঙুলের ফাঁকে ঘা হতে দেখা যায়। প্রচন্ড চুলকায় ও জায়গাটি লাল হয়ে যায়। নারী-পুরুষ উভয়য়েই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আবার বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি। আঙুলের পায়ের ফাঁকে ছত্রাকে সংক্রমণ হলে প্রচন্ড চুলকোয় ফুসকুড়ির মতো হয় আবার কখনো ত্বক ফেটে যেতে পারে। একে টিনায়া পেডিস বা আথলেটস ফুট বলে। এটি সংক্রামক। সংক্রমনের মাত্রা বেড়ে গেলে আঙুলের ফাঁকে ক্ষত তৈরি হয়ে থাকে। তাই একেবারেই ফেলে রাখবেন না। কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
আবার একজনের থেকে অন্যজনে ছড়ায় এটি। যাদের পা সবসময় ভেজা থাকে তারাই এই রোগের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এছাড়া একই মোজা বারবার পরা, সারাদিন আটো সাটো জুতো পড়ার কারণে পা ঘামা হওয়ার কারণে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে থাকে। সংক্রমিত ব্যক্তির কাপড় মোজা, তোয়ালে, বিছানা ব্যবহার করলে অন্য ব্যক্তির এই রোগ হতে পারে। সাধারণত গরমকালে ও আদ্র আবহাওয়া ছত্রাকের সংক্রমণ বেশি হয়। খালি পায়ে হাঁটলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
চা পাতার তেল ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বিনাশী উপাদান। টি ট্রি অয়েলে নারকেল তেলের মতো কোনো ক্যারিয়ার অয়েল মেশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর দিনে দুবার করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। এতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। নানান কারণে পায়ের আঙুলের ভেতর ঘা হতে পারে। কোথাও আঘাত পেলে কোন কারনে ফোসকা পড়লে আবার কখনো চুলকানি হলে লাল হয়ে যেতে পারে।
নিম পাতার নির্যাস ছত্রাক সংক্রমণ নিরাময় বেশ কার্যকর। নিমের তেল বা নির্যাস দিনে দুই থেকে তিনবার সরাসরি সংক্রমিত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। সামুদ্রিক লবনেও ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বিনাশী ক্ষমতা রয়েছে। একটি গামলায় কুসুম গরম জল নিন। এতে এক কাপ লবণ মিশিয়ে পায়ের আঙ্গুল কে কুড়ি মিনিটের মতো ডুবিয়ে রাখুন
এরপর ভালোভাবে মুছে ফেলুন। পায়ের শুষ্কতা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম