।। প্রথম কলকাতা ।।
বিশ্বকাপে প্রথমবার কোন আফ্রিকান দলের কাছে হারল ব্রাজিল। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল সেলকাওদের। এদিন ছিল তিতের রিজার্ভ বেঞ্জ পরখ করার দিন। দলে আনেন নটি পরিবর্তন। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তুললেও ক্যামেরুনের ডেডলক ভাঙতে পারল না তারুণ্যে ভরপুর দলটি। উল্টে অতিরিক্ত সময়ে গোল খেয়ে হেরে মাঠ ছাড়ল তিতের দল। অন্যদিকে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল সুইৎজারল্যান্ড।
এক পয়েন্ট পেলেও গ্রুপ পর্বের শীর্ষস্থান নিশ্চিত হত ব্রাজিলের। তবে সেইসব আমল দিতে রাজি নয় তিতের দল। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজালো ব্রাজিল। একাদশে একাধিক পরিবর্তন করেন ব্রাজিল কোচ। ভিনিসিয়াস জুনিয়র, সিলভা, রিচার্লিসনদের বসিয়ে তরুণ তারকাদের নামান ব্রাজিল কোচ। তবে পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব পড়েনি সেলকাওদের। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, রদ্রিগো, আন্তোনি ও গাব্রিয়েল জেসুসদের ঝাঁঝালো আক্রমণে চাপ তৈরি করতে থাকে ক্যামেরুন রক্ষণে। তবে সুযোগ তৈরি করেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ব্রাজিল। কয়েকবার প্রতি আক্রমণে উঠলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি আফ্রিকান দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ভাবে আক্রমণ করে গেল ব্রাজিল। বিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে একাধিকবার গোলের সুযোগও পেল। কিন্তু ফিনিশিংয়ে বারবার আটকে গেল ব্রাজিল। উল্টে পাল্টা আক্রমণে গোল খেয়ে বসল তিতের দল। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ম্যাচজয়ী গোলটি করেন ভিনসেন্ট আবুবকর। ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল ক্যামেরুন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথম কোনো আফ্রিকান দলের কাছে হারল ব্রাজিল। তবে হারলেও ‘এইচ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় পৌঁছাল সেলকাওরা। সোমবার শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
অন্যদিকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠল সুইৎজারল্যান্ড-সার্বিয়া ম্যাচ। ২০ মিনিটে জর্দান শাকিরির গোলে এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি সার্বিয়া। ২৬ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে সার্বিয়াকে সমতায় ফেরান আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ। তিন মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় সার্বিয়া। তাদিচের পাস বক্সে ক্লিয়ার করতে পারেননি সুইস ডিফেন্ডার রেমো ফ্রয়লার। সেই বল আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন দুসান ভ্লাহোভিচ। তবে সার্বিয়ার এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪৪ মিনিটে সিলভান উইডমারের পাস থেকে সুইৎজারল্যান্ডকে সমতায় ফেরান এমবোলো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের রেশ ধরে রাখে সুইৎজারল্যান্ড। বিরতির পর খেলা তিন মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যায় সুইসরা। ৪৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ফ্রুইলার। প্রথমার্ধের তুলনায় অনেকটাই নিষ্প্রভ লাগলো সার্বিয়াকে। তবে চেষ্টার খামতি রাখেনি তাঁরা। পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াল সুইৎজারল্যান্ড রক্ষণে। কিন্তু সমতায় ফিরতে পারল না। ৩-২ গোলে জিতে গ্রুপ রানার্স হয়ে ব্রাজিলের সঙ্গী হল সুইৎজারল্যান্ড। মঙ্গলবার শেষ ষোলোর ম্যাচে পর্তুগালের মুখোমুখি হবে সুইসরা।