।। প্রথম কলকাতা ।।
ISRO: এবার ইসরোয় মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পেল বাংলার মেয়ে। সৌভাগ্য নয়, নিজ যোগ্যতায় সে পরীক্ষায় সফল হয়েছে। তার এই সাফল্যে গর্বিত বাঙালিরা। ইসরোতে মহাকাশযান নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল বাংলার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অর্পিতা সাহা ইসরোর সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে এই সুযোগ পেয়েছে। তার বাড়িতে ইসরোর চিঠি এসেছিল ডাক পড়েছে সেখানে। অর্পিতার বাবা মায়েরও এই সাফল্য বিশ্বাস করতে খানিক সময় লেগেছে। সব বাবা-মা ই চান, সন্তান তাঁদের মুখ উজ্জ্বল করুক। কিন্তু অর্পিতা যে এভাবে জেলা তথা রাজ্যের গর্ব হয়ে উঠবে তা ভাবতে পারেননি তাঁরা। মেয়ের এই সাফল্যে গর্বে বুক চওড়া হয়েছে পরিবারের সকলের। ইতিমধ্যেই মেয়েকে নিয়ে রওনা দিয়েছেন অর্পিতার বাবা।
আপনারা তো দেখছেন, মেধায় ছেলেদের সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে মেয়েরাও। তাই মেয়ে বলে আর তাদের ঘরের চার দেওয়ালে আটকে রাখা ঠিক নয়। এগিয়ে দিন মেয়েদের। দেখবেন, অর্পিতার মতোই সেও মুখ উজ্জ্বল করবে আপনাদের।
চন্দ্র অভিযানে গগনজান। মহাকাশ বিজ্ঞানের এক অন্যতম পিঠস্থান ইসরো। এখনো পেরোনো হয়নি মাধ্যমিকের গণ্ডি। তবে তার আগেই ইসরোতে ডাক পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন অর্পিতা সাহা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের এই নবম শ্রেণীর ছাত্রী টি সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১৪ দিনের ইয়ং সাইন্টিস্ট প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকার জন্য তাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। শ্রী হরি কোটার সতীশ ধাবন স্পেস সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।গবেষণামূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ মিলবে টানা ২৫ দিন।
নম্বরের ভিত্তিতে ইসরোর পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে থেকে ৩৫০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সুযোগ দেওয়া হয়েছে অর্পিতা তাদের মধ্যে একজন। অর্পিতা সাহা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অর্পিতার বাবা দীপঙ্কর সাহা।পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। মা বর্ণা সাহা গৃহবধূ। সাধারণ পরিবারের মেয়ে অর্পিতা।
এবছর পয়লা মার্চ অনলাইনে ইসরোর জীবিকা নামক একটি পরীক্ষায় বসেন। এরপরই সম্প্রতি এই পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়। সেই ফলের ভিত্তিতেই অর্পিতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে রওনাও হয়ে গিয়েছেন অর্পিতা ও তার বাবা। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ ও মহাকাশযান নিয়ে তার প্রচুর আগ্রহ ছিল। তাই এ বছর পরীক্ষা দিয়েছিলেন অর্পিতা। ওই পরীক্ষার সফল হয়ে ইসরো থেকে ডাক পাবে ভাবেনি নবম শ্রেণীর ছাত্রীটি। সম্প্রতি চন্দ্র যান ৩ উৎক্ষেপণের যাবতীয় খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছে সে। এবার সেই ইসরোতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে খুশি অর্পিতা ও তার পরিবার।
ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ ও আকর্ষণ অর্পিতার। এছাড়াও সে কবিতাও লেখে। আঁকা নাচ এইসব বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে তার। আগামীতে মহাকাশ বিজ্ঞানের ওপর কাজ করতে চায় সে। অর্পিতা তুমি আরো বড় হও নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে চলো। এই শুভকামনা রইল প্রথম বাংলার পক্ষ থেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম